5 weight loss tips that actually work
5 Weight Loss Tips that actually work. রোগা হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন। খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। মাসে গুচ্ছের টাকা নিয়ে ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে জিমে যাচ্ছেন। ঘন্টার পর ঘন্টা শরীর চর্চা করছেন। কয়েকটা দিন মনে হচ্ছে যেন কিছুটা কমেছে ওজন। আবার একদিন মনে হচ্ছে, এত তো চেষ্টা করছি, কোথায় কমছে?
এর পরেই আসবে অবসাদ। জিমে যাতায়াত অনিয়মিত হয়ে পড়বে। ওজন কমানোর মূল ফোকাস থেকে আপনি সরে আসবেন। এতদিনের চেষ্টা সব জলে যাবে তখন।অনেক তো হল। এবার কয়েকটা, না, মাত্র ৫টা টোটকা অনুসরণ করে একবার দেখুন তো কিছুদিন, হাতে হাতে ফল পান কী না! জাপানিরা বরাবর তাঁদের জীবনশৈলীতে এই ৫ টোটকা মেনে চলেন।
আপনিও চেষ্টা করে দেখুন একবার। দ্রুত ওজন ঝড়তে পারে আপনারও। তাই শুধু খাওয়া দাওয়া কমিয়ে বা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেই নয়, রোজকার জীবনে কিছু অভ্য়াস বদলে ফেললেই তো লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আসতে পারে আপনার শরীরে। মনে রাখবেন, রোগা হওয়া জরুরী শুধু সুন্দর দেখার জন্য নয়, শরীরের অতিরিক্ত ওজন কিন্তু নানা উপসর্গ ডেকে আনে শরীরে যা ভবিষ্যতে বড় রোগে পরিণত হয়।
১) দীর্ঘক্ষণ চিবিয়ে খাবার খেতে হবে:
বলা হয়ে থাকে, জাপানিরা কখনও গোগ্রাসে খাবার গেলেন না। দীর্ঘক্ষণ খাবার চিবিয়ে চিবিয়ে তার পরে গলাধঃকরণ করেন। খাবার মুখে দিয়ে তা অন্তত ২০ থেকে ২৫ বার চিবোতে হবে।
যত চিবোতে থাকবেন তত খাবার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র অংশে ভাগ হয়ে যাবে। ফলে তা হজম করতে সুবিধা হবে। খাবার হজম ঠিকঠাক হলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২) খেতে বসে জল খাওয়া বারণ:
আমাদের অনেকেরই অভ্যাস বরং বলা ভাল কুঅভ্যাস আছে, দু’এক গ্রাস খাবার মুখে তোলার পরেই জল খাওয়া। জাপানিদের মতে, এটা একেবারেই ঠিক নয়।
খাওয়ার মাঝে জল খাওয়া যাবে না। তাতে পেট ভরে যাবে, শরীরে অস্বস্তি হবে, হজমে সমস্যা হবে, ফলে শরীর সঠিক পুষ্টিগুণ পাবে না। এর থেকে বাড়বে ওজন।
কিসমিস ভেজানো জলের কত উপকার জানেন আপনি?
৩) খাওয়ার শুরুতে সবজি খেতে হবে:
খাবার সময় সবার আগে সবজি খেতে হবে। জাপানিরা সবজি দিয়েই খাবার খাওয়া শুরু করেন। এর কারণ আছে। খাওয়ার আগে সবজি বেশি করে খেয়ে নিলে পেট ভরে যায়। ফলে বিপাকহার বাড়ে।
তাছাড়া জাপানিরা নিয়ম করে ডায়েটে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে রাখেন। এই খাবারও বিপাকহার বাড়ায়। আপনিও আপনার ডায়েট চার্ট এবার সেভাবেই তৈরি করে নিন। খাওয়ার পরে জাপানিরা গ্রিন টি পান করেন। এতেও না কি বিপাকহার বাড়ে।
৪) বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে:
জাপানিরা তাঁদের রোজকার ডায়েটে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখেন। তুলনায় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের মাত্রা কম রাখেন। আপনিও ডায়েটে কার্বহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিনের মাত্রা বাড়ান।
আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা। জাপানিরা কিন্তু নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী খান। মনের মতো খাবার পেয়ে অনেক বেশি করে খেয়ে ফেললে কিন্তু হবে না। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখলে তবেই ওজন ধরে রাখা যাবে।
৫) স্নান করতে হবে উষ্ণ জলে:
খাবারের বাইরে গিয়ে ওজন ঠিক রাখারও আরও একটি টিপস জাপানিরা ব্যবহার করে থাকেন। তাঁরা কখনও সম্পূর্ণ ঠান্ডা জলে স্নান করেন না। উষ্ণ জলে স্নান করেন। কারণ, উষ্ণ জলে স্নান করলে শরীরে ‘হিট শক প্রোটিন’ তেরি হয়। এই প্রোটিন মেদ ঝরার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করে বলে মনে করা হয়। আপনিও এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।