সরকার বাড়ির ভালোবাসায় বেড়ে উঠছে টোটো
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন বিভিন্ন আপডেট পাওয়ার জন্য।
দুর্গাপুরঃ বেনাচিতির মনোরঞ্জন অ্যাপার্টমেন্টের সরকার বাড়িতে কান পাতলেই শোনা যায় টোটোর নাম। টোটো উঠে পড়ো। টোটো খেয়ে নাও। টোটো ঘুমিয়ে পড়ো। টোটো, টোটো করে অস্থির মমতা সরকার, সুরজিৎ সরকার ও তাঁদের মেয়ে দেবারতি।
কে এই টোটো ? টোটো একটি কচ্ছপ। পরম যত্নে সে বেড়ে উঠছে এই বাড়িতে। শোভাপুরের কাছে আইকিউ সিটির রাস্তায় ২০১৯ সালে দেবারতির পায়ে লাগে একটা শক্ত বস্তু। মোবাইলের আলোয় মমতা দেখেন কচ্ছপ। আঘাত লেগেছে ভেবে তারা কচ্ছপটিকে তুলে নিয়ে আসেন গাড়ির ডিকিতে করে। উদ্দেশ্য ছিল সেরে উঠলে তাকে আবার রেখে দিয়ে আসবেন যথা স্থানে।
দেখুন টোটোর কান্ড কারখানা!!
বাড়িতে ফিরে তাঁরা দেখলেন, সত্যি কচ্ছপের পায়ে আঘাত লেগেছে। মমতার দাদা পশু-পাখি নিয়ে থাকেন। তাঁর পরামর্শে কচ্ছপটিকে কাপড় দিয়ে পরিস্কার করে, শুশ্রুষা করতে শুরু করলেন। ইন্টারনেট ঘেঁটে কচ্ছপ নিয়ে নানা পড়াশোনা সেরে ফেলল সরকার পরিবার। মমতা বলেন, আমার মেয়ের পায়ে ও আঘাত পেয়েছিল, ওকে তাই একা ওখানে ছেড়ে আসতে পারিনি। মমতা আরও বলেন, আমার মেয়ে ওর নাম রাখল টোটো। সেরে উঠেছে যখন তখন আর কাছ ছাড়া করতে পারলাম না।
এপ্রিল মাস থেকে পরম মমতায় টোটো বড় হতে থাকে এই বাড়িতেই। হাতের তালুতে রেখে আদর করে দিলে ঘুমিয়ে পড়ে। টোটো নামে ডাকলে গুটি গুটি এগিয়ে আসে। খেতে বললে খেয়ে নেয়। গামলার জলে রাখলে, সাঁতার কাটে। সবুজ মাঠে ছেড়ে দিলে আপন মনে ঘুরে বেড়ায়।
দেখুন দেউলের জঙ্গল আকাশ থেকে কেমন লাগে
ডিসেম্বর আসতেই টোটো খাওয়া কমিয়ে দিয়েছিল। ভয় পেলেন সুরজিৎবাবু। নেট ঘেঁটে জানতে পারেন, এই সময় ওরা কম খায়। ঘুমানোর সময় এটা। খোলসের মধ্যে ঘুমায়। উলের টুপিতে মুড়ে রাখা হল তাকে। শীতে আরাম পেল। মশারির মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে টোটোকে। বেশ চলছে তাদের।
দেবারতি জানান, প্রথমে একটু ভয় ভয় লাগলেও টোটো এখন আমার বন্ধু। বাড়ির সকলের স্পর্শে আলাদা করে সাড়া দেয় টোটো।
https://durgapur24x7.com/rakshitpur-welcomes-migratory-birds-from-russia-siberia/