Passive income ideas in india

How to get rid of Nomophobia. সে ‘নো’ টু নোমোফোবিয়া.

How to get rid of Nomophobia. নোমোফোবিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। নোমোফোবিয়া অর্থাৎ ‘নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া’ এখন রীতিমতো মানসিক অসুখের জায়গা নিচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সব সময় মনে হয়, মোবাইলটি কোথায় গেল? খুব সাবধান।

How to get rid of Nomophobia. নমোফোবিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না

নোমোফোবিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। মোবাইল ফোন ছাড়া কয়েক মুহূর্ত কাটানো যেন আমাদের অনেকের কাছে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। শিক্ষক ক্লাস নিতে নিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। এমন বহু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা স্যারকে লুকিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে, এমন ভিডিও অগুণতি। রাস্তাঘাটে, বাজারে, শপিং মলে, সব জায়গায় প্রায় সবাই দেখা যায় মোবাইলে মুখ গুঁজে রয়েছেন। অনেকে তো বাথরুমে ঢোকার সময়েও মোবাইল ফোনটি সঙ্গে নিয়ে ঢোকেন। কিন্তু মোবাইল ফোনের এই অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের শরীর ও মনের ওপর দীর্ঘমেয়াদী ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

নমোফোবিয়া হলে কি কি হয়?

কানে কম শোনা

প্রথম সমস্যা যেটা দেখা যাচ্ছে, অনেকেই কানে কম শুনছেন। এর কারণ, মোবাইলে অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করে কথা বলা, গান শোনা। হেডফোনে টানা কথা বললে শ্রবণক্ষমতা কমে যায়। মস্তিষ্কের সংবেদনশীলতা কমে যায়। ফলে তৎপরতা কমে যায়। তাছাড়া হেডফোনে কথা বলতে বলতে যাতায়াত করায় গাড়ির আওয়াজ ও হর্ন শুনতে না পেয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।

চোখে কম দেখা

স্মার্টফোনের আলো চোখের ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে আসক্ত থাকলে চোখের উপর প্রভাব পড়ে। ফলে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ঘুমের সমস্যা

নোমোফোবিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। রাতে ঘুমোবার আগে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে নিদ্রাহীনতার সমস্যা দেখা দেয়। স্মার্টফোন থেকে নির্গত উজ্জ্বল আলোর জন্য মস্তিষ্কে মেলাটোনিন নিঃসরণের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। অনেকে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে মোবাইল নিয়ে মেসেজ চেক করতে বসে যান। আর ঘুম আসতে চায় না। দিনের পর দিন এই অবস্থা চলতে থাকলে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দেখা দেয়।

শুক্রানুর সমস্যা

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মোবাইল ফোন থেকে উচ্চ কম্পাঙ্কের তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ নির্গত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই ক্ষতিকর তরঙ্গ শরীরে প্রবেশ করলে মস্তিষ্কে ক্যানসার হতে পারে। এই ক্ষতিকর তরঙ্গ পুরুষের প্রজননতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। শুক্রানু উৎপাদন কমিয়ে দেয়। শুক্রাণুর ঘনত্ব কমে যায়। ফলে পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

ঘাড় ও গাঁটে ব্যাথা

অনেকেই একটু বেশি ঝুঁকে বসে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ঘাঁটেন। এর ফলে মেরুদণ্ডে সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে আঙুলের গাঁটে ব্যথা হয়। কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন রেখে ঘাড় ঝুঁকিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বললে ঘাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

মোবাইলে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ

বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, মোবাইলে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকে। ফলে মোবাইলের দীর্ঘ ব্যবহারে সংক্রমণের সম্ভাবনাও নাকি বাড়ে।

মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া বা মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে ভোগা

আর একটা অদ্ভুত সমস্যায় ভোগেন ‘নোমোফোবিয়া’র আক্রান্তরা। তাঁদের অনেককে মোবাইল হারানোর আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায়। কেউ কেউ আবার ভাবেন, এই বুঝি মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গেল। মোবাইল থেকে কিছুক্ষণ আলাদা থাকলেই অনেকে অস্থির হয়ে পড়েন। অনেকে মোবাইলের ভাইব্রেশন অনুভব করেন বা রিং টোন শুনতে পান। এসবের ফলে এক ধরণের মানসিক রোগের শিকার হয়ে পড়েন তাঁরা।

How to get rid of Nomophobia. নমোফোবিয়া থেকে মুক্তির উপায়

একমাত্র মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার কমানো ছাড়া এ থেকে মুক্তির আর কোনও পথ নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

দিনের নির্দিষ্ট সময় মোবাইল থেকে দূরে থাকা

দিনের নির্দিষ্ট একটি সময় মোবাইল থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। সেই সময়ে ফোন এলে গিয়ে ফোন ধরুন। কথা বলুন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটে বুঁদ হয়ে থাকবেন না। মোবাইলটিকে সেখানে রেখে আগের জায়গায় ফিরে আসুন।

ঘুমোনোর সময় মোবাইল নিয়ে না শোওয়া

ঘুমানোর সময় অবশ্যই মোবাইল দূরে রাখুন। সম্ভব হলে বন্ধ কিংবা সাইলেন্ট করে রাখুন। বিছানায় শুয়ে মোবাইল ভুলেও ব্যবহার করবেন না।

পছন্দের বিষয় নিয়ে মেতে থাকা

মনকে অন্যদিকে চালিত করার জন্য পছন্দের বিষয় নিয়ে মেতে উঠুন, পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে গল্প করুন। তাহলে মোবাইল থেকে দূরত্ব বাড়বে।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরত্ব তৈরি করা

সোশ্যাল মিডিয়া যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন, সারাদিনের মোবাইল ব্যবহারের সিংহভাগ সময়ই যায় সোশ্যাল মিডিয়ার পিছনে। তাই একটু সংযত হন।

How to get rid of Nomophobia. মনে রাখবেন, আপনার মন অপরিসীম শক্তির আকর। তাই হতোদ্যোম হবেন না। মন শক্ত করুন। স্বআরোপিত বিধিনিষেধ মেনে চলুন। ঠিক টাটা বাই বাই বলতে পারবেন ‘নোমোফোবিয়া’কে। 

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours