Benefits of raisin water. কিশমিশ ভেজানো জল খেলে কী হয়?
Benefits of raisin water. কিশমিশ (raisin) যেমন ফল হিসেবে খাওয়া যায়, তেমনই কিশমিশ ভেজানো জলও স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক উপকারী। কিশমিশ যেমন রক্তাল্পতা দূর করে তেমনই লিভার বা যকৃত্ পরিষ্কার করতেও কিশমিশের জুরি নেই। নিয়মিত কিশমিশের জলে লিভার সাফ হয়।
Benefits of raisin water. কিশমিশের জল (raisin water) খেলে লিভারে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া ঘটে। দ্রুত রক্ত পরিশোধিত হতে থাকে। তাছাড়া কিশমিশের জল কিডনিকে চাঙা রাখে। অন্তত টানা চার দিন কিশমিশের জল খেলেই বোঝা যাবে তফাৎটা কী। পেটের গন্ডগোলের জন্য কিসমিস ভেজানো জল (Raisin water) বিশেষ উপকারী। পেট একদম পরিষ্কার হয়ে যায়।
সুপুষ্ট কিশমিশ কিনুন এই লিঙ্কে
কীভাবে বানাবেন কিশমিশের জল? প্রথমে কিশমিশ ভালো করে কয়েক বার ধুয়ে নিতে হবে। এবার দুই কাপ জলে ১৫০গ্রাম কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে কিশমিশ ছেঁকে নিয়ে এই জল হালকা গরম করতে হবে। তারপর তা খালি পেটে পান করতে হবে। আধঘন্টা আর অন্য কোনও খাবার খাওয়া চলবে না। তবে মনে রাখতে হবে, কেমিক্যাল যেন না থাকে। কিসমিসে কেমিক্যাল মেশানো থাকলে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে যাবে।
Benefits of raisin water. চিকিৎসকেরা জানান, কিশমিশে পটাশিয়াম থাকে, যা হার্টকে ভাল রাখে। শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিশমিশে রয়েছে নানা ভিটামিন ও মিনারেল। কিশমিশের জল খেলে সেই ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে ঢোকে। হজমশক্তি বাড়ে। রক্তাল্পতা দূর হয়।
আবার রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে কিশমিশ ভেজানো জল। কিশমিশ ভেজানো জলে এক চামচ মধু যোগ করতে হবে। এরপর তাতে কিছুটা বেসন মিশিয়ে ঘন করে নিতে হবে। ত্বকের উপরে এবার এই ফেসপ্যাক মিশ্রণ লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক তাঁরা ফেসপ্যাকে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারেন।
আবার কিশমিশ ভেজানো জল টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। কিশমিশ ভেজানো জলে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে ত্বকে ভালো করে স্প্রে করতে হবে। কিছুক্ষণ রাখার পরে পরিস্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে সবচেয়ে এই মিশ্রণ কাজে আসে ফেসটোনার হিসাবে। এটি ব্যবহার করলে মুখ সব সময় উজ্জ্বল থাকে।
+ There are no comments
Add yours