নেতাজির পথ ও পাথেয়কে আদর্শ করে এগিয়ে চলার আহ্বান ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন বিভিন্ন আপডেট পাওয়ার জন্য।
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুরঃ শনিবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী যথাবিহিত মর্যাদা সহকারে পালিত হল দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। কোভিড পরিস্থিতির জন্য অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হয়।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হলেন নেতাজি সুভাষ। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুুয়ারি কটকে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দেশে শিক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পরে তাঁকে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো হয় কেমব্রিজে। আইসিএস উত্তীর্ণ হন। কিন্তু তিনি সব ছেড়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি মনে করতেন, ব্রিটিশদের দেশছাড়া করতে শৃঙ্খলাপরায়ণ ও সাহসী সেনাবাহিনী গড়তে হবে। তারই প্রাথমিক প্রক্রিয়া হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন বেঙ্গল ভলান্টিয়ার বাহিনী। বেশ কয়েকবার তাঁকে জেল খাটতে হয়।
মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে মতান্তর হওয়ার পরে ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি দেশ ছেড়ে জার্মানি চলে যান। হিটলারের উপর চাপ তৈরি করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে ধৃত ভারতীয় সেনাদের মুক্তির ব্যবস্থা করেন। তেমন প্রায় ৪০ হাজার সেনা নিয়ে তিনি নিজস্ব আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। বার্লিনে তিনি একটি রেডিও স্টেশন গড়ে তোলেন। সেখান থেকে বেতার ভাষণে তিনি যুব সম্প্রদায়কে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়ার বার্তা দিতেন। তিনি বলতেন, তোমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। তিনি জাপানে যান। জাপান অধিকৃত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে স্বাধীন সরকার গঠন করেন। যদিও জাপানের পরাজয়ের পরে পরিস্থিতি বদলে যায়। তবে সেই ধাক্কা সামলাতে পারেনি ব্রিটিশরা। ভারতকে স্বাধীনতা দিয়ে দেশ ছাড়ে ব্রিটিশরা।
আরও পড়ুন- সৌরশক্তিতেই চলছে ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ক্যাম্পাস
শনিবার ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ডিরেক্টর ডাঃ পীযূষ পাল রায়ের উদ্যোগে কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশনায়ককে শ্রদ্ধা জানান কলেজের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মীরা। ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অ্যান্ড গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনের জেনারেল সেক্রেটারি তরুণ ভট্টাচার্য নেতাজির পথ ও পাথেয়কে আদর্শ করে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান। কলেজের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এর চিফ অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, “নেতাজির মতো মহান নেতা ভবিষ্যতেও আসবেন বলে আশা রাখি। ক্ষুধা ও দারিদ্র থেকে মুক্তি পাবে দেশ।”