বদলে যাচ্ছে রীতি রেওয়াজ, বুড়ি ঘরের ঐতিহ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় ত্রিপুরাবাসী
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন বিভিন্ন আপডেট পাওয়ার জন্য।
দুর্গাপুর দর্পণ, পার্থ বিশ্বাস, আগরতলাঃ মকর সংক্রান্তির আগের রাতটা শিশু কিশোরদের জন্য স্বপ্নের রাত। কারণ, ওই দিনটা যে বুড়ি ঘর এর!
অগ্রহায়ণ-পৌষে ধান কাটার পরে উৎসাহীরা নাড়া তুলে জড়ো করতে থাকেন। ফাঁকা জমিতে সেই নাড়া দিয়ে গড়ে তোলা হয় বুড়ি ঘর। আধুনিকতার কবলে পড়ে বুড়ি ঘর ক্রমশ বিলুপ্তপ্রায়। তবে কল্যাণপুরের মতো জনপদে এখনও বুড়ি ঘর নিয়ে উন্মাদনা রয়েছে। অতীতে বুড়ি ঘর দোতলা এমনকি তিন, চার তলাও বানানো হতো। এখন আর সেদিন নেই।
চাঁদা তুলে বাজার এনে কাঠের চুলায় রান্না করা হতো। যার যেমন বাজেট। ডিম, মাছ, মাংস। জমিয়ে পিকনিক। স্বাদ যেমনই হোক সবাই চেটে পুটে তাই সাবাড় করে খেয়ে পরদিন সকালে স্নান করে বুড়ি ঘর পুড়িয়ে ওম নেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এরপর বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে মা-মাসিমাদের হাতে গড়া পিঠে খাওয়া।
আজকের এই অতি আধুনিক যুগে বুড়ি ঘরের ঐতিহ্য ম্রিয়মান। বর্তমানে বুড়ি ঘরের বিকল্প এক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। নাড়া দিয়ে বুড়ি ঘর না বানিয়ে কাপড় দিয়ে ছোট প্যান্ডেল এর মতো বানিয়ে দেদার মদ্যপান ও মাংস খাওয়া সঙ্গে উচ্চ স্বরে সাউন্ড বক্স বাজানো। ঐতিহ্য নিয়ে ভাবার কি সত্যিই কেউ থাকবেন না? প্রবীণদের আক্ষেপ, নতুন প্রজন্ম ব্যস্ত মোবাইল ফোন নিয়ে। ঐতিহ্য নিয়ে ক’জনেরই বা চিন্তাভাবনা রয়েছে!
https://durgapur24x7.com/terminated-teachers-movement-come-up-with-donation-box/