পোট্রেট আঁকা যেন সহজাত দুর্গাপুরের অরূপের

অরূপ কুমার পাল। বেনাচিতি নতুনপল্লি জি-ব্লকের যুবক। ছোট থেকেই ছবি আঁকত অরূপ। তা দেখে বাবা মা আঁকার স্যারের কাছে ভর্তি করে দেন। চতুর্থ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সুব্রত বিশ্বাসের কাছে আঁকা শেখে অরূপ। একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়া শুরু করে। আঁকা শেখায় ছেদ পড়ে।
কিন্তু অরূপের শিল্পী মন পড়ার বাঁধনে আটকে থাকেনি। সে বাড়িতে পড়ার পাশাপাশি পোট্রেট আঁকা রপ্ত করতে শুরু করে। দ্বাদশ শ্রেণী থেকে পরিচিতদের কাছ থেকে তাদের পোট্রেট আঁকার অর্ডার আসতে থাকে। উচ্চ মাধ্যমিকের পর ব্যাঙ্গালোরে নার্সিং ট্রেনিং-এ ভর্তি হয় অরূপ।

লকডাউনে এখন বাড়িতে। পড়ার ফাঁকে তার কাছে অর্ডার আসে পোট্রেট তৈরীর। ভিন রাজ্য থেকে-ও। বিভিন্ন টেন্ডারের কাজ করে সে। এছাড়াও ওয়াল পেন্টিংয়ে বেশ নাম ছড়িয়েছে তার। এছাড়া, মাত্র এক ইঞ্চি জায়গায় মণীষিদের পোট্রেট এঁকেছে সে। ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী তার কাছে আঁকা শেখে।

বাবা নির্মল পাল বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তিনিও ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। দিদি মৌমিতার বিয়ে হয়ে গেছে। ভাইকে সব সময় উৎসাহ জোগান তিনি। মা বাসনা পাল বলেন, ছোট থেকেই আঁকার প্রতি ভীষণ টান। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই টান যেন আরও বেড়েছে। তার ছাত্র-ছাত্রী রাশি জানা, অনিক ঘোষ, আবির চক্রবর্তী, অর্পিতা শীল, উস্মিতা সেন-রা জানায়, আঁকাই যেন অরূপ স্যারের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান!
Thank you for posting this