সৌরশক্তিতেই চলছে ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ক্যাম্পাস
দুর্গাপুরঃ দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বেশ কিছু কাজকর্ম চলছে সৌরবিদ্যুতে। এর ফলে একদিকে কলেজের বিদ্যুৎ খরচের কিছুটা সাশ্রয় হবে। অন্যদিকে গ্রিন এনার্জি ব্যবহারের দরুণ পরিবেশ দূষণ কমবে। ধাপে ধাপে কলেজের সব ক্যাম্পাসেই সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অ্যান্ড গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশন এর জেনারেল সেক্রেটারি তরুণ ভট্টাচার্য।
কলেজের ছাদে সোলার প্যানেল
ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিদ্যাসাগর ভবনের ছাদে আপাতত ৩০ কিলোওয়াটের রুফটপ সোলার ফটোভোল্টিক পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হয়েছে। প্ল্যান্টটি সংযুক্ত করা হয়েছে গ্রিডের সঙ্গে। ফলে কখনও প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে বা ছুটির দিনে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চলে যাবে গ্রিডে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনও প্রভাব পড়বে না।
সৌর বিদ্যুতে চলছে ফোয়ারাঃ দেখুন ভিডিও
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি থেকে কলেজের সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই কলেজে এটাই প্রথম রুফটপ সোলার ফটোভোল্টিক পাওয়ার প্ল্যান্ট। দিনে গড়ে ১২০ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে এই প্ল্যান্ট থেকে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ কলেজের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আলো জ্বলছে, পাখা চলছে এমনকি রাতে কলেজের সামনের সুদৃশ্য ঝরণাটিকে আলোকোজ্জ্বল করে রাখছে।
বিকল্প শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এই কলেজ। ছুটির দিনগুলিতে বিদ্যুতের চাহিদা তলানিতে ঠেকবে। সেই সব দিনে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সোজা চলে যাবে গ্রিডে। বদলে আর্থিক সুরাহা হবে কলেজের। বিজ্ঞানীরা বার বার বলছেন, দূষণ-দানবের হাত থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে বিকল্প শক্তি চাই। সেই শক্তি উৎপাদন আর তার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমজনতার সক্রিয় অংশগ্রহণ দরকার। ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই পথে এগিয়ে দৃষ্টান্ত হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করলেন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
https://durgapur24x7.com/college-authority-honors-corona-warriors-in-durgapur/