How to Grow Brinjal in Pot. টবে বেগুন চাষ
How to Grow Brinjal in Pot. টবে একটি গাছেই বছরের পর বছর কিভাবে বেগুন ফলাবেন? নিচের প্রতিবেদনে বিস্তারিত দেওয়া হল। অনুসরণ করে বাড়ির ছাদেই বেগুন চাষ করে সারা বছর বেগুন পাবেন।
How to Grow Brinjal in Pot. টবে বেগুন শুনলে হাসি পেতেই পারে। কিন্তু ব্যালকনি বা ছাদে নিজের হাতে সহজেই তৈরী করুন বেগুন গাছ। বেগুনের ফলন হলে, সেই আনন্দ বলে প্রকাশ করা যায় না। আসুন দেখে নিই খুব সহজে টবে বেগুন চাষের পদ্ধতি।
এক নজরে
How to Grow Brinjal in Pot। টবে বেগুন চাষ
বেগুনগাছের জন্য লাগবে ঝুরঝুরে মাটি। এই জন্য টবের ব্যবস্থাপনা করতে হবে যত্ন করে। বারো ইঞ্চির একটি টবে সহজেই সারা বছর ধরে আপনি বেগুন চাষ করতে পারেন।
টব তৈরি-
বারো ইঞ্চির একটি টব নিতে। তবে নিচে তিনটি ছিদ্র বা একটি বড় ছিদ্র করে নিতে হবে। এবার খোলামকুচি দিয়ে এই ছিদ্র ঢেকে ফেলতে হবে। যাতে টবে জল না জমে। এই খোলামকুচির উপরে আধ মগ বালি দিয়ে কিছুটা অংশ ঢেকে নিতে হবে। এতে নিকাশি ব্যবস্থা ভালো থাকবে। এর উপরে মাটি দিতে হবে।
মাটি তৈরি-
সামান্য সার প্রয়োগেই ভালো ফলন হয় বেগুনের। বাগানের মাটি বা সাধারণ মাটি আধ বালতি নিতে হবে। মাটির সঙ্গে এক মগ বালি, ১/৪ ভাগ নিম খোল, গোবর সার ২ মগ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তবে লক্ষ রাখতে হবে গোবর সার যেন ভালো শুকনো হয়। নতুবা দু’মগ জৈব সার হিসেবে কেঁচো সার অর্থাৎ ভার্মি কম্পোস্ট নিতে পারেন। মিশ্রনটিকে ভাল করে মাটিতে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার টবে বালির ওপর এই মাটির মিশ্রণ দিয়ে ভর্তি করতে হবে। ২ ইঞ্চি ফাঁকা রেখে মাটি ভরতে হবে টবে। মাটিতে জল দিতে হবে। টব থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে পাঁচ থেকে ছয়টি পাতা যুক্ত গাছ টবে বসাতে হবে।
মাটি তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে, এমন মাটি তৈরি করতে হবে যেন কখনই মাটিতে জল জমে না থাকে। মাটি ভেজা থাকবে কিন্তু জল জমবে না। জল কোনোভাবে জমে গেলে শিকড় নষ্ট হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। এই মাটিতে যাতে আলো যথেষ্ট পরিমাণ পায়। বাতাস যাতে ভালোভাবে খেলে। সেই রকম খোলামেলা জায়গায় বেগুনগাছ করতে হবে।
সার প্রয়োগ-
এক টেবিল চামচ ইউরিয়া, এক টেবিল চামচ টিএসপি, এক টেবিল চামচ এমপি, ১ চা চামচ বোরনের মিশ্রণ তৈরী করতে হবে। এই মিশ্রণ তৈরী করে রাখতে হবে। গাছ লাগানোর পনেরো দিন পর মাটি ভালো করে আলগা করে দিতে হবে। গাছ থেকে তিন আঙুল দূরে টবের চারপাশে সারের মিশ্রনটি ছড়িয়ে দিতে হবে। আবার তার পনেরো দিন পরে আবার এই মিশ্রণের বাকি অংশটা গাছের গোড়ায় টবের মাটিতে ছড়িয়ে দিতে হবে। আপনি যদি একাধিক টবে বেগুন গাছ লাগান, তাহলে এই পরিমাণের হিসেবে প্রতি টবে আপনি সার প্রয়োগ করতে পারেন।
গাছ লাগানোর সময়-
শীতকালীন বেগুন চাষের জন্য শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত সময় বেগুন লাগানো যায়। আর বর্ষাকালে বেগুন পেতে হলে চৈত্র মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত গাছ রোপন করা যায়।
নার্সারি থেকে চারাগাছ আপনি নিয়ে আসবেন। গাছ বসানোর আগে যে পাত্রে আছে সেই পাত্রের মাটি ভিজিয়ে নিতে হবে। মাটি ভিজানোর একঘন্টা পরে গাছে রোপন করতে হবে। এতে শিকড়ে টান লাগবে না।
ছত্রাক কিভাবে নাশ করবেন
বেগুনগাছে একধরনের ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে এই ফি মিউজিয়াম নামক ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়। এতে গাছের গোড়া ও শিকড় নষ্ট হয় এবং বেগুন ঢলে পড়ে। এই ছত্রাকের থেকে বাঁচতে জৈব কীটনাশক হিসেবে নিমতেল ব্যবহার করা যেতে পারে। নতুবা নার্সারি থেকে কীটনাশক এনে জলে মিশিয়ে স্প্রে করলেও এই ছত্রাক আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও এক ধরনের মাছি, মিলিবাগ বিটলি বা ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হয় সেক্ষেত্রে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
গাছ বসানোর এক সপ্তাহ পরই টবের মাটি খুঁড়ে আলগা মাটি আলগা করে দিতে হবে। যাতে বাতাস যাতায়াত করতে পারে। লক্ষ্য রাখতে হবে আগাছা না জন্মায়। জন্মালে তা পরিস্কার করতে হবে। গাছ একটু বড় হলেই ফুল হবে এবং ফুল এলেই ফল হবে। নিয়মিত পরিচর্যার দ্বারা বেগুনের ফলন বাড়বে। সামান্য যত্নেই আপনি বাড়ির বাগানে এভাবেই ফলাতে পারবেন বেগুন।
Pingback: দুর্গাপুরের ব্যবসায়ীর এসবিআই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫০ হাজার টাকা