how to grow guava tree in pots. টবে পেয়ারা চাষ করার সহজ পদ্ধতি
how to grow guava tree in pots. টবে খুব সহজ পদ্ধতিতে পেয়ারা গাছ লাগানো যায়। সামান্য যত্নেই পাওয়া যাবে প্রচুর ফল।
এক নজরে
how to grow guava tree in pots. টবে পেয়ারা চাষ করার সহজ পদ্ধতি
মাটি তৈরী
বাগানের মাটি অর্ধেক, অর্ধেক পরিমাণ ভালো ভাবে পচা গোবর সার অথবা ভার্মি কম্পোস্ট মানে কেঁচো সার, দু’কাপ বালি। এর সঙ্গে এক মুঠো সরষের খোলের গুঁড়ো, এক মুঠো হাড়গুঁড়ো, ৩ চামচ পটাশ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এবার একদিন পুরো মাটির মিশ্রণটি রোদে শুকিয়ে নিন। রোদে মাটি ঝুরঝুরে হলে এই মাটিতে গাছ লাগানো যাবে। এই মাটিতে নার্সারি থেকে আনা পেয়ারা গাছের চারা বসাতে পারবেন।
টব তৈরী
পেয়ারা গাছ বড় প্রজাতির গাছ। টবে এই গাছ করতে গেলে বর্ষায় ফলন শেষ হলে ডাল ছাটতে হবে। ছোট করে রাখতে হবে টবে। এই গাছ অবশ্যই ২০ থেকে ২৫ ইঞ্চির টবে লাগান। টবে গাছ প্রতিস্থাপনের আগে গাছের গোড়া সুস্থ রাখতে টবে মাটি কিভাবে ভরতে হবে তা জেনে নেওয়া জরুরী। টবে ড্রেনেজের ব্যবস্থা করতে হবে। মানে জল নিকাশি ব্যবস্থা। প্রত্যেক টবের নীচে ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্র একটি ঢেউ খেলানো ছোট তিন চারটি খোলাম কুচি রাখতে হবে। তার ওপরে ছোটো স্টোন চিপস্ বা ছোট নুড়ি দিতে হবে। এরপর বালি দিতে হবে এমন ভাবে যাতে নুড়ি পাথরগুলো দেখা না যায়। এরপর মাটি দিতে হবে। বালি অবশ্যই দিতে হবে। নুড়ির ওপর মাটি দিলে পরবর্তীকালে নুড়ির মধ্যে মাটি আটকে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জল টব থেকে বেরোতে পারবে না, মাটিতে জমে যাবে। এবং, মাটিতে ফাঙ্গাস জন্মে গাছের ক্ষতি হবে।
টবে মাটি দেওয়া
টব রেডি হলে বালির উপরে আগে রেডি করে রাখা মাটি কিছুটা দিতে হবে। এবার আলতো হাতে নার্সারি থেকে আনা গাছটিকে টব বা প্যাকেট থেকে আলাদা করে নিতে হবে। যদি টবে থাকে তাহলে, টবের চারপাশে ভারি কিছু দিয়ে হাল্কা করে ঠুকে নিতে হবে। এবার গাছ উল্টো করে টবের পিছন দিকে টোকা দিলেই গাছ বেরিয়ে আসবে। প্যাকেটে গাছ থাকলে কাঁচি দিয়ে ভীষণ সাবধানে প্লাস্টিক কেটে নিতে হবে।এবার চারা গাছটিকে টবে বসিয়ে মাটি দিতে হবে। পুরো টব ভরে কখনওই মাটি দেবেন না। ওপরের অংশ ফাঁকা রাখবেন।
গাছের খাবার
পেয়ারা গাছ পেটুক প্রকৃতির গাছ। তাই প্রত্যেকে মাসে নিয়ম করে খাওয়ার দিতে হবে। দুই মুঠো সরষের খোল, তিন চামচ ইউরিয়া, হাড়গুঁড়ো এক মুঠো, পটাশ তিন চামচ, এক মুঠো নিমখোল মিশিয়ে গাছের গোড়ার চারদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবে এই খাবার দেওয়ার আগে মাটি ভালো করে খুঁড়ে দিতে হবে আগের দিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল দিতে হবে।
গাছে জল দেওয়া
পেয়ারা গাছ একটু ভিজে মাটি পছন্দ করে। তবে জল জমে গেলে গোঁড়া পচে গিয়ে গাছের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। তাই গরমকালে, শীতকালে তিনবারও গাছে জল দিতে হতে পারে। তবে সেটা আপনাকে বুঝে জল দিতে হবে।
গাছে বেশি ফল পেতে হলে
গাছে বেশি ফল পেতে হলে ডাল বাঁকানো একটা পদ্ধতি। কিছু খাবার প্রয়োগেও বেশি ফল পাওয়া যায়। পেয়ারা গাছে দুবার ফলন হয়। বর্ষাকালে ও শীতকালে। মার্চ-এপ্রিল-মে-জুন এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-ডিসেম্বরে ঠিকমতো খাবার দিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। মাছ বা মাংস ধোওয়া জল নিয়মিত দিতে হবে গাছের গোড়ায়। তাতেই অনেক ফল আসবে গাছে।
ডাল বাঁকানো পদ্ধতি
ডাল বাঁকানো পদ্ধতি সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি। এই আধুনিক পদ্ধতি ব্য়বহার করে চাষিরা প্রচুর লাভের মুখ দেখছেন। আপনি টবেও এই ডাল বাঁকানো পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক ফল পেতে পারেন। পেয়ারা গাছের ডাল বাঁকালেই প্রায় দশগুণ পর্যন্ত বেশি ফলন হয়।মৌসুমে গাছের ফুল ছিঁড়ে দিলে বছরভর গাছে ফল পেতে পারেন এই পদ্ধতিতে। দেড় থেকে দুই বছর গাছের বয়স হলেই এ পদ্ধতি শুরু করা যাবে। পাঁচ থেকে ছয় বছর পর্যন্ত এই পদ্ধতিতে ফলন বাড়ানো সম্ভব। ডাল বাঁকানোর ১০ থেকে দিন আগে থেকে গাছের গোড়ায় খাবার ও জল দিতে হবে। ডাল বাঁকানোর সময় প্রতিটি শাখার অগ্রভাগের প্রায় এক থেকে দেড়ফুট অঞ্চলের পাতা ও ফুল-ফল রেখে বাকি অংশ কেটে ফেলতে হবে।এবার ডালগুলোকে সুতা দিয়ে বেঁধে তা বাঁকিয়ে মাটির কাছাকাছি করে ডাল বা কান্ডের সঙ্গে বেঁধে দিতে হয় । মাত্র ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই নতুন ডাল গজানো শুরু হয়। নতুন ডাল ১ সেমি লম্বা হলে বাঁধন খুলে দিন। ডাল বাঁকানোর ৪৫ থেকে ৬০ দিন পরে পাতা সহ নতুন ডাল বের হবে ও তাতে ফুল ধরতে শুরু করবে। ঠিকমত খাওয়ার দিলেই কেল্লা ফতে। আপনার টবের গাছেই ধরবে রাশি রাশি পেয়ারা।
কীটনাশক স্প্রে
পেয়ারা গাছে পোকা লাগার সমস্যা হয়। কীটনাশক স্প্রে করলেই পোকা মাকড়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এছাড়াও কচি ডাল আগা থেকে শুকিয়ে গাছ মারা যায়। এক্ষেত্রেও কীটনাশক ব্যবহারে সমস্যার সমাধান হবে। এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করলেই মিলবে সাফল্য। how to grow guava tree in pots.
আরও পড়ুন- কিভাবে সহজে টবে কাঠগোলাপ বড় করে তুলবেন
আরও পড়ুন- তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের বাড়ি গিয়ে জন্মদিন পালন যুবকের