You are currently viewing How to start a blog. কীভাবে ব্লগ শুরু করবেন?

How to start a blog. কীভাবে ব্লগ শুরু করবেন?

How to start a blog. কোন বিষয়ে মানে কি নিশ নিয়ে ব্লগ খুলবেন সেই সিদ্ধান্ত তো নিয়ে নিয়েছেন। এবার তাহলে আমাদের যেতে হবে পরের ধাপে। আপনি নতুন। ভাবছেন কিভাবে ব্লগ খুলবেন। How to make money blogging for biginner. তা নিয়েই আলোচনা করব এবার।

How to start a blog. প্রথমেই আপনাকে একটি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ঠিক করতে হবে। তো, কিভাবে তা করবেন? কয়েকটি দিক ভেবে নিতে হবে শুরুতেই। কারণ, পরের দিকে তা না হলে পস্তাতে হবে। আমি নিজেই তার একটা উদাহরণ। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। অনেক ভিজিটর আমার ব্লগ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আমি চাই না, সেই পরিস্থিতিতে আপনিও পড়ুন। Best blogging platform to make money. আসুন আমরা খোঁজ নিই।

দেখুন, আমার অভিজ্ঞতায় সেরা ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম হল ওয়ার্ডপ্রেস (worpress)। ওয়ার্ডপ্রেস সহজেই ইনস্টল করা যায়। এটি ব্যবহার করাও খুব সোজা। আপনার ব্লগ আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বিনামূল্যে বহু রকম থিম পাওয়া যায়। অনলাইট সাপোর্ট এবং বহু রকম প্লাগইন পাওয়া যায়। ফলে সহজেই একটি স্ট্যান্ডার্ড এবং প্রফেশন্যাল ব্লগসাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন আপনি।

দ্বিতীয় স্থানে থাকছে ব্লগস্পট (blogspot)। এছাড়াও প্রচুর ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যেটা আপনার পছন্দ সেটিই বেছে নিতে পারেন।

How to start a blog. ফ্রি-তে ব্লগ খুলবেন না কি পকেটের টাকা ব্যয় করবেন?

এবার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ব্লগ তৈরি করতে পকেটের টাকা খরচ করবেন, না কি করবেন না! অর্থাৎ, ফ্রি সাইট না পেইড সাইট? কোনটি আপনার পছন্দ? চিন্তায় পড়ে গেলেন তো? ফ্রি সাইট কি, পেইড সাইট কি? কোনটি ভালো, কোনটি খারাপ? চিন্তা নেই। সহজ করে বলার চেষ্টা করছি।

ফ্রি সাইট- How to start a blog for free and make money. ধরা যাক আপনার ব্লগের নাম myblog। আপনি worpress দিয়ে ফ্রি সাইট খুলতে চান। Free blog sites. তাহলে আপনার ব্লগের ইউআরএল হবে www.myblog.worpress.com। আর আপনি যদি blogspot দিয়ে ফ্রি সাইট খুলতে চান তাহলে আপনার ব্লগের ইউআরএল হবে www.myblog.blogspot.com। অর্থাৎ, ফ্রি সাইট হলে আপনার ব্লগের ইউআরএলে ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের এক্সটেনশান থাকবে। শুধু তাই নয়। Free blog platforms. ব্যবহার করে গড়ে তোলা ফ্রি সাইটে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি সাইট মনিটাইজড অর্থাৎ বিজ্ঞাপন থেকে আয় পেতে সমস্যা হতে পারে। ফ্রি থিম ব্যবহার করা যাবে না।

পেইড সাইট- ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ শুরু করা। এখন বাজারে বহু ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে। অনেক কম দামে, হাজার টাকার মধ্যে ডোমেইন হোস্টিং মিলে যেতে পারে। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস পেইড সাইট ব্যবহার করে ব্লগ শুরু করলে সেই ব্লগের ইউআরএল হবে www.myblog.com।  অর্থাৎ, ইউআরএল থেকে worpress শব্দটি উধাও হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সাইটটিকে একেবারেই নিজস্ব সাইট মনে হচ্ছে। তাছাড়া, পেইড সাইট নিয়ে ব্লগিং করলে সহজেই google adsense থেকে বিজ্ঞাপন দেখানোর অনুমোদনও মেলে।

তাই, আমার মতে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ শুরু করুন। অর্থাৎ পেইড সাইট বেছে নিন।

ডোমেইন বেছে নেওয়ার সময় ‘ডটকম’ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। ডটঅর্গ, ডটনেট সহ নানা রকম ডোমেইন রয়েছে। তবে ইন্টারনেটে সার্চে ‘ডটকম’ প্রাধান্য পেয়ে থাকে।

How to start a blog. ব্লগ ডোমেইনের নাম কিভাবে ঠিক করবেন?

এবার আসা যাক, ব্লগ ডোমেইনের নাম কি দেবেন সে বিষয়ে। একটা কথা মাথায় রাখবেন, ব্লগ ডোমেইন নেমের মধ্যে আপনার ব্লগের বিষয়ের উল্লেখ করতে পারলে সবথেকে ভালো। ধরা যাক আপনি  Food and Recipes niche নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে চান। তাহলে ব্লগ ডোমেইন নেমের মধ্যে যেন এর একটা ইঙ্গিত থাকে। হয়তো নামের মধ্যে Food শব্দটি থাকল বা হয়তো  Recipes শব্দটা থাকলো। কিম্বা হয়তো এই দুটি শব্দের যে কোনও একটির রিলেটেড কোনও শব্দ থাকল। আসল কথা হল, পাঠক বা ভিজিটর যেন ব্লগের নাম দেখেই একটা ধারণা পেতে পারে যে ব্লগটি কি নিয়ে বা এর বিষয়টি কি।

খেয়াল রাখবেন, ডোমেইন নেম যেন খুব বেশি লম্বা বা কঠিন না হয়। পাঠক বা ভিজিটর যেন সহজেই তা মনে রাখতে পারেন। ব্লগিং টপিকের সঙ্গে মিল রেখে ডোমেইন নেম পেতে ব্যবহার করে দেখতে পারেন, Domain Name Generator। একটি ওয়ার্ড লিখলেই অনেকগুলো আইডিয়া পাবেন।

ব্লগের ডিজাইন কিভাবে সেট করবেন?

এবার আসা যাক ব্লগের ডিজাইনের বিষয়ে। আপনি যদি অর্থ ব্যয় করতে চান, তাহলে প্রফেশনাল ডিজাইনার দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারেন। এর থেকে ভালো আর কিছু হয় না। প্রথম দর্শণেই আপনার পাঠক বা ভিজিটরের যদি ব্লগের গেট-আপ পছন্দ হয়ে যায় তাহলে অনেকটাই আপনি এগিয়ে গেলেন। সেই রিডার বা ভিজিটর ফের সাইটে আসবেন।

কিন্তু, যদি আপনি আমার দলে পড়েন তাহলে সেই কাজটা নিজেকেই করে নিতে হবে। প্রফেশনাল ডিজাইনারের পিছনে অর্থব্যয় করার সামর্থ্য আমার ছিল না। আমি নিজেই চেষ্টা করে করে, Try and Error এর মাধ্যমে পছন্দের ডিজাইন করতে পেরেছি আমার ব্লগে। আমি চাই, আপনিও এই পথ নিন। তার কারণ, এর ফলে ব্লগ সাইটের নানান খুঁটিনাটি টেকনিক্যাল বিষয় আপনি জেনে যাবেন। যা ভবিষ্যতে ভীষণভাবে কাজে লাগবে।

ঠিক কি কাজে লাগবে তা এখন বললে আপনি বুঝতে পারবেন না। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে পড়লে তখন বুঝতে পারবেন এই কথার গুরুত্বটা। তাই যদি খুব অসুবিধা না থাকে, তাহলে নিজের ব্লগ নিজেই ডিজাইন করুন। অন্যের সাহায্য না নিয়ে একেবারে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করে বড় করে তুলুন আপনার ব্লগটিকে।

How to start a blog. কোন ভাষায় ব্লগ লিখবেন, বাংলা না ইংরাজি?

ও হ্যাঁ। আর একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়নি এতক্ষণ। আপনাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে, বাংলায় ব্লগিং করব নাকি ইংরেজিতে? তাই না? দেখুন, সেটা একেবারেই নির্ভর করবে আপনার উপর। তবে ইংরেজিতে যদি আপনি দক্ষ হন, তাহলে ইংরেজিতে ব্লগ শুরু করাই ভালো।

কারণ, ইংরেজি কনটেন্ট ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিনে সহজেই চলে আসতে পারে। ইংরেজি কনটেন্টের পাঠক বিশ্বব্যাপী। ফলে দ্রুত যেমন ভিজিটির ও ভিউ বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে তেমনই বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ক্ষেত্রেও আপনি বাংলার তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে থাকবেন।

বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আমরা পরের আর্টিকেলে আলোচনা করব। তবে একটা কথা বলতে পারি, ব্লগের ভাষা হিসাবে বাংলা কিন্তু সারা বিশ্বে উল্লেখযোগ্য জায়গায় রয়েছে। কাজেই বাংলায় ব্লগ শুরু করলেও আপনি কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না।

ভিজিটর বা পাঠকদের সঙ্গে যোগাযোগ কিভাবে বাড়াবেন?

ব্লগের ডানদিকে উপরের দিকে ‘সাবস্ক্রিপশন’ অপশন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে পাঠক বা ভিজিটর ব্লগটিকে সাবক্রাইব করে নিতে পারেন। এর ফলে যখনই আপনি নতুন কোনও আর্টিকেল ব্লগে পোস্ট করবেন সঙ্গে সঙ্গে তা পৌঁছে যাবে তাঁদের কাছে। পাশাপাশি, ব্লগে পাঠকদের কমেন্ট বা মতামত দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাঁদের মনে কোনও প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে আপনাকে। পাঠক বা ভিজিটরের সঙ্গে যত বেশি টু-ওয়ে কমিউনিকেশন তৈরি করতে পারবেন তত আপনি তাঁদের কাছাকাছি পৌঁছাবেন, আপনার ব্লগের গ্রহণযোগ্যতাও তাঁদের কাছে বাড়বে।

কিভাবে আপনার ব্লগ ভিজিটর বা পাঠকদের কাছে পৌঁছাবে?

এবার ব্লগ তো তৈরি হল। কিন্তু তা পাঠক বা ভিজিটরদের কাছে পৌঁছাবে কি করে?  দেখুন, আপনার আগে আপনার ব্লগের বিষয়ে হয়তো হাজার হাজার পাতা আগে থেকেই রয়েছে ইন্টারনেটে। তাই পাঠক ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে আপনার ব্লগটিকে যে খুঁজে পাবেন তার কোনও গ্যারান্টি নেই। সেজন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল Search Engine Optimization বা SEO। তবে এখনই SEO কি তা আপনার মাথায় চাপিয়ে আপনাকে ভারাক্রান্ত করে তুলতে চাই না। এটা নিয়ে পরের আর্টিকেলে আলোচনা হবে বিস্তারিত। তার আগে ব্লগ জনপ্রিয় করে তুলতে প্রথম থেকেই জোর দিন ব্লগের মার্কেটিংয়ে।

কিভাবে ব্লগের মার্কেটিং করবেন?

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন। ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট সহ যত সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার অ্যাকাউন্ট আছে সব ব্যবহার করুন। ব্লগের প্রতিটি আর্টিকেল শেয়ার করুন। যত বেশি শেয়ার হবে তত বেশি জনের কাছে পৌঁছাবে। তত ভিজিটর ও ভিউ বাড়ার সম্ভাবনা বাড়বে। পরের লেখায় ‘ব্লগে কিভাবে আর্টিকেল লিখবেন’ সে বিষয়ে বলব।

How to start a blog. কোনও প্রশ্ন থাকলে জানাবেন। সাধ্যমতো চেষ্টা করব উত্তর দিতে।

Leave a Reply