You are currently viewing প্রতিদিন ১২ কিমি পাথুরে পথ পেরিয়ে মেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়া করেন আফগানিস্তানের মিঞা খান।

প্রতিদিন ১২ কিমি পাথুরে পথ পেরিয়ে মেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়া করেন আফগানিস্তানের মিঞা খান।

প্রতিদিন ১২ কিমি পাথুরে পথ পেরিয়ে মেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়া করেন আফগানিস্তানের মিঞা খান।

ভারতে শিক্ষার অধিকার আইন, মিড ডে মিল সহ কত সরকারি সুবিধা রয়েছে পড়াশোনার। দুস্থরাও যাতে পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সব রকম ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। অথচ এ’দেশে স্কুলছুটের সংখ্যা অগুণতি। খাতায়-কলমে যা দেখানো হয় বাস্তবে সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। বাড়ির বাবা-মায়েরা বহুক্ষেত্রেই ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে উদাসীন। ছেলে বা মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েই দায় সারেন। কিছুদিন পরে স্কুলে অনিয়মিত হতে থাকে তারা। একদিন স্কুল ছেড়েই দেয়। অথচ বাবা-মা প্রথম থেকে নজর দিলে এমন হতো না। স্বাধীনতার প্রায় সাত দশক পরেও পরিস্থিতি এমনই।

অথচ, যুদ্ধবিধ্বস্ত এক প্রতিবেশী দেশের এক ‘অশিক্ষিত’ বাবার কান্ড জানলে মাথা নুইয়ে পড়তে বাধ্য। তিনি মিঞা খান। গ্রামে রাস্তাঘাট নেই। পাথুরে বন্ধুর পথ বেয়ে রোজ বাইকে করে ১২ কিমি পথ পেরিয়ে তিন মেয়েকে স্কুল থেকে আনা-নেওয়া করেন তিনি। ছেলেদের পড়াশোনা নিয়েই যেখানে বাবা-মায়েরা চিন্তাভাবনা করেন না, সেখানে তিন মেয়েকে পড়াশোনা শেখাবেন বলে প্রতিদিন এতটাই মেহনত করেন তিনি। স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করেন। চার ঘন্টা ধরে। স্কুল শেষ হলে আবার মেয়েদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান মিঞা খান।

মিঞা খানের এই স্বপ্ন সফল হবে কি না সেটা সময় বলবে। তবে তাঁর এই উদ্যোমকে ‘স্যালুট’!

আফগানিস্থানের পাকটিকা প্রভিন্সের সেন্ট্রাল শারানা এলাকার মিঞা খানের এমন উদ্যমের খবর সোশ্যাল মিডিয়া তো বটেই, বহু মেনস্ট্রিম মিডিয়াও খবর করেছে। আফগানিস্থানের মতো একটা দেশে এভাবে মেয়েদের পড়াশোনা শেখানোর পুশতুন বাবার এমন জেদের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। তাঁর ইচ্ছে, মেয়েরা পড়াশোনা করে একদিন ডাক্তার হবে। কারণ, তাঁরা যেখানে থাকেন সেখানে কোনও মহিলা ডাক্তার নেই। মহিলাদের অনেকেই পুরুষ ডাক্তারদের কাছে নানা কারণে স্বচ্ছন্দ নন। তাই মেয়েদের ডাক্তার হিসাবে দেখতে চান তিনি। মিঞার কথায়, নিজে অশিক্ষিত বলে শিক্ষার মূল্য বুঝি। মেয়েরা সেভাবে পড়াশোনা করে না বলে আমাদের এখানে মহিলা ডাক্তার নেই। আমি চাই, আমার মেয়েরা সেই অভাব পূরণ করুক। তাঁর এক মেয়ে রোজি জানায়, এখন সে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে সে খুব খুশি।

Leave a Reply