পৃথিবী থেকে মঙ্গল, মাঝে চাঁদে বিশ্রাম, শুরু মিশন আর্টেমিস
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন বিভিন্ন আপডেট পাওয়ার জন্য।
পৃথিবী থেকে মঙ্গলে যাত্রা। মাঝে চাঁদে বিশ্রাম। অনেকটা এমন চিন্তাভাবনাই চূড়ান্ত করে ফেলেছে আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা, নাসা!
নাসা চাঁদে ২০২৪ সালে একজন পুরুষ মহাকাশচারীর সঙ্গে একজন মহিলা মহাকাশচারীকেও পাঠাবে বলে ঠিক করেছে। ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পের নাম আর্টেমিস। নাসা অ্যাপোলোর মত ওরিয়ন নামের একটি ক্যাপসুল তৈরি করেছে। এসএলএস নামের একটি রকেট এটি উৎক্ষেপণ করবে।
ভিডিওতে দেখুন প্রস্তুতি
নাসা চায়, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যে বরফ জমে রয়েছে, সেই নমুনা সংগ্রহ করে আনা। তা থেকে চাঁদেই স্বল্প খরচে রকেটের জন্য জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। এটা হলে আর পৃথিবী থেকে রকেটের জন্য জ্বালানি বয়ে চাঁদে নিয়ে যেতে হবে না।
তার আগে ২০২১ সাল নাগাদ মহাকাশচারী বিহীন পরীক্ষামূলক মহাকাশযান পাঠাবে নাসা। এটাই আর্টেমিস প্রকল্পের প্রথম ধাপ যাকে আর্টিমেসি-ওয়ান বলা হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ আর্টেমিস-টু মহাকাশচারীদের নিয়ে চাঁদকে পরিক্রমা করবে। উৎক্ষেপক রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ওরিয়ন মহাকাশযানটি পরিচালনা করবেন মহাকাশচারীরা নিজেরাই।
সবশেষ ধাপ আর্টেমিস-থ্রি। এই পর্যায়ে মহাকাশচারীদের নিয়ে চাঁদে অবতরণ করবে মহাকাশযান। ১৯৬৯ সালের পর ফের চাঁদের বুকে মানুষের পা পড়বে।
নাসা জানিয়েছে, আর্টেমিস-ওয়ানের জন্য এসএলএস রকেটের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি জোড়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই দশকের শেষ দিকে মহাকাশচারীদের জন্য আর্টেমিস বেস ক্যাম্প তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চাঁদে দীর্ঘমেয়াদী অভিযান চালানোর জন্য যাবতীয় পরিকাঠামো থাকবে সেখানে। নাসার প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, “এই উচ্চকাঙ্খী অভিযান ভবিষ্যতে মঙ্গল যাত্রার পথ মসৃণ করবে।”
২০৩০ নাগাদ মঙ্গল মিশন শুরু হবে বলে প্রাথমিকভাবে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
Pix credit: NASA
https://durgapur24x7.com/literature-and-science-science-fiction/