‘পিরিতে মজিলে মন কিবা…’। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘প্রেমের ফাঁদ পাতা ভূবনে, কখন কে ধরা পড়ে কে জানে।’
নিউ ইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান স্টার ফুটবলার নেইমারের মা প্রেমে পড়েছেন। কার সঙ্গে? অনেক কমবয়েসী এক যুবকের সঙ্গে, যিনি কি না ছেলের চেয়েও বয়সে ছোট! এবং, নেইমার সেটা মেনেও নিয়েছেন।
কিন্তু সে প্রেম টেকেনি বেশিদিন। সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দু’জনের সম্পর্কে ইতি পড়ে গিয়েছে।
মুখরোচক বলতে পারেন কেউ কেউ। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রকৃত প্রেমের কোনও বিকল্প নেই। নেইমারের মা নাদিন গনক্লেভসের বয়স এখন ৫২ বছর। নেইমারের চেয়েও তাঁকে নিয়ে এই মুহূর্তে অনেক বেশি চর্চা হচ্ছে।
কারণ একটাই, তিনি যাঁর প্রেমে পড়েছিলেন সেই টিয়াগো রামোস এর বয়স মাত্র ২২ বছর। তিনি একজন ভিডিও গেমার। নেইমারের চেয়ে বয়সে প্রায় ছয় বছরের ছোট। নেইমারের মা সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এ’খবর প্রকাশ্যে আনেন। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, গনক্লেভস ও তাঁর প্রেমিক রামোস প্রেম বিনিময় করছেন বাগানে।
বিয়ের ২৫ বছরের মাথায় নেইমারের বাবা ওয়াগেনার রিবিয়েরোর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় নেইমারের মায়ের। সেটা ছিল ২০১৬ সাল। তারপরে এই প্রথম তিনি কারওর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
কিন্তু সমবয়সী বা বয়সে বড় কাউকে মনে ধরেনি তাঁর। একেবারে ছেলের থেকে ছয় বছরের ছোট এক যুবককে তাঁর পছন্দ হয়েছিল। তবে ছেলে যে সেই সম্পর্ক অনুমোদন করেছিলেন তাতে তিনি খুব খুশি। নেইমার তাঁর ইনস্টাগ্রামের পোস্টে কমেন্ট করেছিলেন, ‘মা সুখী হও। তোমায় ভালোবাসি।’ তাঁর বাবা রিবিয়েরোও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর এই নতুন সম্পর্ককে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে গনক্লেভস খুব খুশি ছিলেন।
রামোস বরাবরই নেইমারের বিখ্যাত ফ্যান। ২০১৭ সালে তিনি নেইমারকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘নেইমার তুমি দারুণ! তোমার একজন ফ্যান হতে পারার আনন্দ কিভাবে প্রকাশ করব জানি না। তোমায় খেলতে দেখলে আমি মোটিভেটেড হই। একদিন তুমি নিশ্চয়ই আমার এই মেসেজ পড়বে বলে আশা রাখি। তোমার ভাই হয়ে তোমার সঙ্গে খেলতে চাই একদিন।’ আরও একটি মেসেজে তিনি লিখেছিলেন, ‘একদিন তোমার সঙ্গে দেখা হবে। আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। তাই আশা ছাড়ি না। ঈশ্বর তোমার সঙ্গে থাকুন। তোমার সাফল্য কামনা করি।’ সেই সব মেসেজের কোনও উত্তর নেইমার দিয়েছিলেন কি না জানা যায়নি।
রামোসের সেই স্বপ্ন সত্যি হয় শেষ পর্যন্ত। ভাই হয়ে নেইমারের সঙ্গে ফুটবল খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। সে না হোক। নেইমারের কাছাকাছি আসা তাঁর মায়ের প্রেমিক হিসাবে। সে হোক। স্বপ্নের ফুটবলারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন জানুয়ারি মাসে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি ব্রাজিল থেকে খবর এসেছে, দু’জনের সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে। রামোস নাকি এর আগে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সে খবর পাওয়ার পরেই নেইমারের মা সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরের খবর অজানা!