Harmful App. অনলাইন প্রতারণা কত রকম ভাবে হতে পারে, সত্যিই আগাম ধারণা করা মুশকিল।
এই ব্লগে এর আগের একটি লেখায় ক্রে়ডিট কার্ড, ডেবিট বার্ড বা ইএমআই কার্ড থেকে কিভাবে ‘বিপদ’ আসতে পারে সে ব্যাপারে ইঙ্গিত ছিল। ‘পিন’ বা ‘ওটিপি’ তো দূরের কথা, কার্ড নম্বর, মেয়াদ শেষের তারিখ, সিভিভি নম্বরও ভুল করেও কাউকে জানানো যাবে না। কারণ, বহু ওয়েবসাইট থেকে পান বা ওটিপি ছাড়াই কেনকাটা করা যায়। তাই কার্ডের তথ্য জানা থাকলেই প্রতারকরা আপনার অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিতে পারে।
Harmful App. বিপদ অ্যাপ থেকেও
দোকানে কার্ড সোয়াইপ করে বিল মেটানোর সময়ও দুষ্কৃতীরা কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। সেজন্য নিয়ম মেনে সেই সময় কার্ডটি ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, কড়া নজর রাখা দরকার। একটু বেচাল দেখলেই চ্যালেঞ্জ করতে হবে। এসব তথ্য কমবেশি সবার জানা। কিন্তু জানেন কি, অ্যাপে খাবার অর্ডার দিয়ে উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ের একজনের ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে চার লক্ষ টাকা!
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, মোবাইলে একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে তিনি খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন। অ্যাপেই আগাম খাবারের দাম মিটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও খাবার আসেনি। বিরক্ত হয়ে তিনি অর্ডারটি ক্যানসেল করার সিদ্ধান্ত নেন। ইন্টারনেট থেকে নম্বর জোগাড় করে তিনি ওই অ্যাপের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেন। সব শোনার পরে তাঁকে জানানো হয়, টাকা ফেরত পেতে গেলে তাঁকে অন্য একটি অ্যাপ (Harmful App) ডাউনলোড করতে হবে।
অ্যাপটির লিঙ্ক তাঁর মোবাইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কাস্টমার কেয়ার থেকে। সেই লিঙ্ক থেকে ওই ব্যক্তি অ্যাপটি ডাউনলোড করে নেন। এরপর অ্যাপের নির্দেশ মতো তিনি তাঁর ব্যাঙ্ক ডিটেলস দিয়ে অ্যাপের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করেন। এরপর তাঁর মোবাইলে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) আসে। ওটিপি অ্যাপে দেওয়া মাত্র তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। সেই মেসেজ দেখে চোখ কপালে উঠে যায় তাঁর।
মেসেজে লেখা ছিল, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে চার লক্ষ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। গোমতীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। অতএব, একটি বিষয় পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে। জালিয়াতরা কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে নেই। নিত্য নতুন প্রতারণার ফাঁদ তারা আবিস্কার করছে। একজনের সামান্য একটা ভুল কাজে লাগিয়ে তারা তাঁর সর্বনাশ করে ছাড়ছে। সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়, ‘সতর্ক থাকুন’।
#fooddeliveryfraud