পাখিদের জন্য ফলের বাগান আরামবাগ স্টেশনে
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন বিভিন্ন আপডেট পাওয়ার জন্য।
আরামবাগ স্টেশনে গড়ে উঠছে পাখিদের জন্য বাগান। রেল কর্তৃপক্ষ এবং ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এই বাগান তৈরির মূল কারিগর।
আরামবাগ স্টেশনে প্রায় ৫-৬ কাঠা জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল দীর্ঘদিন ধরে। রেল কর্তৃপক্ষ আপাতত সেই জমি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন ওই সংগঠনের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সেখানেই পাখিদের জন্য বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে। পেয়ারা, আম, জামরুল প্রভৃতি ফলের গাছ লাগানো হচ্ছে।
উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের হুগলি জেলা সভাপতি তন্ময় ঘড়ুই বলেন, ওই বাগানের ফল পাখিরা খাবে। ফলের অধিকার থাকবে শুধু পাখিদের। তিনি জানান, পাখিরা ফল খেতে পায় না। গ্রীষ্মে পানীয় জলের সমস্যায় পড়ে। তাই বাগানের মধ্যে কিছু পাত্র রেখে তাতে পানীয় জল রাখার ব্যবস্থা করা হবে পাখিদের জন্য।
তন্ময়বাবু জানান, ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার মোট ৬৫ টি গাছ লাগানো হয়েছে। উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছেন সংগঠনের আরামবাগ মহকুমার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এদিন তাঁদের মধ্যে ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। গাছের পরিচর্যা, বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন শিক্ষকেরাই। তন্ময়বাবু ছাড়াও অরুণেন্দু রায়, পৃথ্বীশ হাটি, তাপস মালিক, গেবিন্দ ভট্টাচার্য, ঝন্টু বাগ, অচিন্ত্য দাস, শম্ভুনাথ ঘোষ সহ অনেকেই থাকবেন। পাঁচ বছর পরে বাগান তৈরি হয়ে গেলে তা তুলে দেওয়া হবে রেলের হাতে।
হুগলির জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই মাধ্যমিক) তপনকুমার বসু বলেন, কিছুদিন আগে ওঁরা ওঁদের কাজে এসেছিলেন আমার অফিসে। তখন পরিবেশের জন্য কিছু করার আর্জি জানাই। ওঁরা পাখিদের জন্য বাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। শুভেচ্ছা জানাই। অনেক পাখি আর এখন দেখা যায় না। পাখিদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা গেলে হয়তো সেগুলি আবার ফিরে আসবে। ওই শিক্ষকদের দেখে আগামী দিনে অন্যরাও এমন চিন্তাভাবনা করুন, এটাই চাই।
এদিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন স্টেশন মাস্টার শশাঙ্ক জানা। তিনি বলেন, পাখিদের জন্য ভাবা হচ্ছে। পরিবেশের কথা ভাবা হচ্ছে। শুভ উদ্যোগ। জমিটা আপাতত পড়েছিল। তাই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
https://durgapur24x7.com/distribution-of-nutritional-health-drinks-to-students-of-rural-area/