Plants in Lunar Soil

Plants in Lunar Soil : চাঁদের মাটিতে জন্ম নিল উদ্ভিদ

Plants in Lunar Soil. চাঁদের মাটিতে বিজ্ঞানীরা সফলভাবে জন্ম দিলেন উদ্ভিদের। তাঁদের এই সাফল্যের খবর ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো মহাকাশযানে করে চন্দ্রাভিযানের সময় চাঁদ থেকে মহাকাশচারীরা সংগ্রহ করে এনেছিলেন চাঁদের মাটি যা রিগোলিথ নামে পরিচিত। সেই মাটি সংরক্ষণ করে রেখে দেওয়া হয়েছিল ভবিষ্যতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। আমেরিকার ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে সেই মাটিতে সবুজের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় সফল হলেন।

Plants in Lunar Soil. চাঁদে একদিন উপনিবেশ গড়া হবে। এমনটাই পরিকল্পনা রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন সহ নানা দেশের। চলছে সেই প্রস্তুতিও। তার আগে চাঁদে গিয়ে দীর্ঘদিন থেকে গবেষণা করতে চান বিজ্ঞানীরা। কিন্তু চাঁদে গিয়ে থাকতে গেলে খাবার-দাবার দরকার। তাই চাঁদের মাটিতে ফসল ফলানোর প্রক্রিয়া নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে গবেষণায় মিলল সাফল্য। চাঁদের মাটিতে জন্ম নিল সবুজ ‘অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা’।

এই উদ্ভিদ মূলত আফ্রিকা এবং ইউরোপ ও এশিয়ার একাংশে দেখা যায়। এরা সহজে মরে না। অনেকটা ফুলকপি, ব্রুকলি জাতের গাছ। চাঁদের মাটিতে তেমন পুষ্টিগুণ নেই। তা সত্বেও এই উদ্ভিদ জন্মেছে সেই মাটিতে। এবার বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত, চাঁদের মাটিতে চাষবাস করা যেতে পারে। পৃথিবীর মতো নয়, তবে উদ্ভিদ যে জন্ম নেবে, গবেষণাগারের পরীক্ষায় তা প্রমাণিত। এবার গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে সাফল্যের হার আরও বাড়ে।

নতুন করে চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে পুরোদমে। হয়তো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে নাসা। শেষবার চাঁদে মহাকাশচারীরা গিয়ে চাঁদে ১২ দিন ছিলেন। এবার আর অল্প কয়েকদিন নয়, দীর্ঘ সফরের পরিকল্পনা করছে নাসা। ফলে যাবতীয় প্রস্তুতিও চলছে সেকথা মাথায় রেখেই। তাই চাঁদেই যাতে খাবারের ব্যবস্থা করা যায় সেজন্য চাঁদের মাটিতে ফসল ফলানো জরুরি। সেকথা মাথায় রেখেই প্রায় ৫০ বছর আগে চাঁদ থেকে আনা মাটি বের করে তাতে উদ্ভিদের জন্ম দেওয়ার উদ্যোগ নেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা জানান, চাঁদের মাটিতে জলের সঙ্গে সার দেওয়া হয়। এরপর বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দু’দিন বাদেই অঙ্কুরোদ্গম শুরু হয়। দিন ২০ বয়েস হলে পরিণত গাছের প্রকৃতি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, গাছগুলি সামান্য দুর্বল। তবে জন্ম যখন নিয়েছে তখন তাতে পুষ্টি বাড়ানোর ব্যবস্থা করা কোনও দূরহ কাজ নয়, এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন।)

 

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours