তিমির পেটে একশো কেজি প্লাস্টিক, কচ্ছপের বাচ্চার পেটে একশো প্লাস্টিকের টুকরো

পাহাড় হোক, জঙ্গল হোক, এমনকি সমুদ্র হোক। যেখানেই যাবেন প্লাস্টিকের হাত থেকে রেহাই নেই। আমরা মানুষ। আমাদের সুবিধার জন্য প্লাস্টিক ব্যবহার করতেই পারি। কারণ, আমরাই পৃথিবীর সবথেকে সভ্য ও বুদ্ধিমান জাতি হিসাবে পরিচিত। কিন্তু এই প্লাস্টিক দিন দিন কিভাবে অন্যান্য প্রাণীদের বিনাশের কারণ হয়ে উঠছে, তা নিয়ে কি আমরা বিন্দুমাত্র ভাবব না? ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের কথা কি কেউ ভাবছি আমরা? ইকোসিস্টেম নড়বড়ে হয়ে গেলে আমাদের অস্তিত্বও তো নড়বড়ে হয়ে যাবে। একদিন অস্তিত্বহীন হয়ে যাব আমরা।

কিছুদিন আগে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছিল, স্কটল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে একটি ২০ টন ওজনের মরা তিমি মাছের পেট থেকে মেলে প্রায় একশো কেজি সামুদ্রিক বর্জ্য। এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্যের মধ্যে ছিল প্লাস্টিকের দড়ি, প্লাস্টিকের কাপ, প্লাস্টিকের গ্লাভস সহ আরও অনেক কিছু। এত প্লাস্টিক দীর্ঘদিন ধরে তিমির পেটে জমেছে। ধীরে ধীরে ডাইজেস্টিভ সিস্টেম বা পাচনক্রিয়া নষ্ট করে দিয়েছে। এর ফলে তিমিটির মৃত্যু হয়। কে জানে হয়তো আরও কত কত সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে প্লাস্টিকের জন্য।

সম্প্রতি আমেরিকার ফ্লোরিডায় সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে আসা একটি কচ্ছপের বাচ্চার পেটে একশোর বেশি প্লাস্টিকের টুকরো পাওয়া যায়। প্রাণীটি আকারে খুবই ছোট। হাতের তালুর সমান। ভেসে আসার পরে সেটি মৃতপ্রায় অবস্থায় সৈকতে পড়েছিল। পরে মারা যাওয়ার পরে তার পেটে থেকে পাওয়া যায় মোট ১০৪ টি প্লাস্টিকের টুকরো। প্লাস্টিকের বোতলের ঢাকনা, বেলুন সহ আরও নানা কিছু। ভেসে সৈকতে চলে আসা অধিকাংশ শিশু কচ্ছপের পেটেই এই ধরণের প্লাস্টিকের টুকরো মিলছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সমুদ্রের দূষণ নিয়ে এরপরেও সরব না হলে আমরা আর কবে হব?

Leave a Reply