আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন বিভিন্ন আপডেট পাওয়ার জন্য।
PUBG Game addiction. বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গিয়েছে পাবজি গেম। দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংস্থার তৈরি ‘প্লেয়ার্স আননোন ব্যাটলগ্রাউন্ড’ বা সংক্ষেপে পাবজি (পিইউবিজি) নামক এই ভিডিও গেমটি এখন পর্যন্ত বিশ্বে ২০ কোটির বেশি ডাউনলোড হয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
আরও বলা হচ্ছে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ কোটি মানুষ এই গেম খেলেন। অনলাইনে একসঙ্গে অনেকে গেমটি খেলতে পারেন। খেলা শুরুর পর অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে করতে এগোতে হয়। আত্মরক্ষার খাতিরে মারতে হয় অন্যদের অনলাইন অবতারকে। সবশেষে যাঁর অবতার বেঁচে থাকে, তিনিই হন বিজয়ী।
PUBG Game addiction. কিন্তু এই গেমটি নিয়ে আপত্তি উঠেছে বহু দেশে। কেন?
১) অনলাইনের এই গেমটিতে খুব সহজেই কমবয়েসীরা আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনার।
২) তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, গেমটি খেলতে খেলতে কিশোর-কিশোরী বা তরুণ-তরুণীরা সহিংস হয়ে পড়ছে। আক্রমণাত্মক আচরণ তাদের ব্যক্তিজীবনে প্রভাব ফেলছে। গেমটির প্রতি অনেকের আসক্তি এতটাই যে বাড়িতে বকুনি খেলে বা খেলতে বাধা দিলে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে।
৩) আবার টানা এই গেম খেলে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর খবরও খবরের কাগজে উঠে এসেছে। যেমন গত মে মাসে মধ্যপ্রদেশে পাবজি খেলতে খেলতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে কিশোর ফুরখান কুরেশি। দুপুরের খাওয়া শেষ করে মোবাইলে পাবজি খেলতে বসে ফুরখান। একটানা ৬ ঘণ্টা খেলে হেরে যায় সে। এর পরেই উত্তেজিত হয়ে অন্য খেলোয়াড়দের উপর চিৎকার করতে করতে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের মতে, খেলতে গিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনা থেকে অ্যাড্রিনালিন লেভেল বেড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
গেমটি যে বিপজ্জনক, তার স্বপক্ষে এমন আরও বহু কারণের কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকেই তাই বিপজ্জনক এই গেমটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে।
পড়শি দেশ বাংলাদেশ ও নেপাল ইতিমধ্যেই গেমটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে এবং তাঁদের মতামত নিয়েই গেমটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নেপাল সরকার শুধু গেমটি নিষিদ্ধ ঘোষণাই করেনি, দেশের সমস্ত মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকেও এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে। সেখানেও সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই এগিয়ে আসে সরকার।
যদিও ভারত এখনও গেমটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার মতো কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
PUBG Game addiction. এমন পরিস্থিতিতে সব বাবা-মায়ের আশু কর্তব্য হল, পাবজি গেমের বিপদ থেকে সন্তানদের বাঁচাতে এগিয়ে আসা। মোবাইল নিয়ে ছেলে বা মেয়ে সারাক্ষণ কি করছে সেদিকে নজরদারি রাখা দরকার। পাবজি গেমের বিপদ সম্পর্কে লাগাতার সচেতনতা গড়ার চেষ্টা করা দরকার।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গেমের নেশা থেকে মুক্তি পেতে বেশ কিছু দিন এই গেম ও মোবাইল থেকে দূরে রাখতে হবে ছেলে-মেয়েদের।
মোবাইলের সেলফি তুলতে গিয়ে ফের বিপদ, সচেতনতা কোথায়?