প্রেগনেন্সি কিটের আদলে এবার করোনা কিট? র‌্যাপিড টেস্ট শুরু?

র‌্যাপিড টেস্ট নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কারণ সরকারের হাতে পর্যাপ্ত টেস্ট কিট নেই। তাই বেছে বেছে এলাকায় র‌্যাপিড টেস্ট করা হচ্ছে। চিন থেকে কিট এসেছিল। সেই কিট ত্রুটিপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে আমরা সবাই কার্যত আতঙ্কে আছি। আমার বা আপনার শরীরে করোনার সংক্রমণ রয়েছে কি না জানার কোনও উপায় নেই।

র‌্যাপিড টেস্ট আসলে কি? আমাদের শরীরে কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ হলে শরীরে থাকা অ্যান্টিবডি সেই ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে দেয়। তাই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি থাকা দরকার। বিশেষ করে করোনার মতো সংক্রমণের ক্ষেত্রে যেখানে সেভাবে কোনও উপসর্গ ধরা পড়ে না প্রথম কয়েকদিনে, তার খোঁজ পেতে শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ জানা খুবই জরুরী। কোনও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার জন্য শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি রয়েছে কি না সেটাই পরীক্ষা করা হয় র‌্যাপিড টেস্টে। তাই র‌্যাপিড টেস্টের কোনও বিকল্প নেই।

ডাক্তাররা বলছেন, র‌্যাপিড টেস্ট না করা গেলে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু র‌্যাপিড টেস্ট হবে কি করে? কিট কোথায়? তবে এবার হয়তো পরিস্থিতির উন্নতি হতে চলেছে। হায়দরাবাদের একটি বায়োটেক ফার্ম দাবি করেছে, তারা এমন এক টেস্ট কিট তৈরি করেছে যার দাম হবে একশো টাকার মধ্যে। যা দিয়ে ঘরে বসে সহজেই টেস্ট করা যাবে।

ফার্মটি দাবি করেছে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর কাছে অনুমোদনের জন্য ওই কিট পাঠানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। ‘জেনোমিক্স বায়োটেক’ নামে ওই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা  কর্ণধার পি রত্নগিরি জানিয়েছেন, এই কিট দেখতে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটের মতো। ছোট পাউচ প্যাকের মধ্যে থাকবে একটি প্লাস্টিকের টেস্ট ডিভাইস। এছাড়া ওই প্যাকেটে থাকবে গ্লাভস ও রক্তের নমুনা নেওয়ার জন্য সুঁচ, একটি ড্রপার। ড্রপার দিয়ে কিটের উপর এক ফোঁটা রক্ত ফেলতে হবে। প্লাস্টিকের টেস্ট ডিভাইসে থাকা সূচক থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বোঝা যাবে। আইসিএমআর এর অনুমোদন পেলে সংস্থাটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কিট উৎপাদন শুরু করে দিতে পারবে।

এখন সেদিনটির জন্যই অপেক্ষায় কোটি কোটি ভারতবাসী।  

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours