ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অ্যান্ড গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস এর উদ্যোগে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন বিভিন্ন আপডেট পাওয়ার জন্য।
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুরঃ ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অ্যান্ড গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস এর উদ্যোগে মঙ্গলবার যথাবিহিত মর্য্যাদা সহকারে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাড়ম্বরে পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবস। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ডাঃ বিআর আম্বেদকরকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়।১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হলেও ভারতের নিজস্ব কোনও সংবিধান ছিল না। সংবিধান রচনার পরে ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর তা গৃহীত হয়। সংবিধান রচয়িতারা ঠিক করেন, ভারতের প্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠার দিনটি উদযাপন করা উচিত। ১৯২৯ সালে জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ‘পূর্ণ স্বরাজ’ আনার শপথ ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ১৯৩০ সাল থেকে ২৬ জানুয়ারি স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হতো। তাই প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে বেছে নেওয়া হয় ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। মঙ্গলবার এই বিশেষ দিনটি ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অ্যান্ড গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস এর চারটি প্রতিষ্ঠানই অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করার উদ্যোগ নেয়।
অনুষ্ঠানে ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ডিরেক্টর ডাঃ পীযূষ পাল রায় তাঁর বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের নানা গৌরবোজ্জ্বল দিক তুলে ধরেন। তিনি জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন আইআইটি, এনআইটি সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত করোনা অতিমারির সময়ে মোট ২২,৮৯০ অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছিল।
তিনি আরও জানান, করোনা অতিমারি সত্বেও ২০২০ ব্যাচের পড়ুয়াদের প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রেও এই কলেজ খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক ৪১১ জন পড়ুয়া একাধিক চাকরি পেয়েছেন। ২৯২ জন অন্তত একটি করে চাকরি পেয়েছেন। এই সময়ে প্রায় ৮০ টি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে। কলেজের শিক্ষক, পড়ুয়া ছাড়াও বিদেশ থেকেও অনেকে এই ওয়েবিনারগুলিতে যোগ দিয়েছিলেন। ডিরেক্টর বলেন, “করোনা অতিমারির চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে এই সাফল্যের পিছনে প্লেসমেন্ট বিভাগ ও জনসংযোগ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও আমি বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের।” ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অ্যাকাডেমি অফ প্রফেশনাল কোর্সেস এর প্রিন্সিপ্যাল ডাঃ সৌরভ দত্ত পূর্ব ভারতের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবার অবদানের কথা তুলে ধরেন।
ডাঃ বিসি রায় কলেজ অফ ফার্মেসি এবং ডাঃ বিসি রায় পলিটেকনিক কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ডাঃ বিসি রায় ফার্মেসি কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ডঃ শুভব্রত রায়। ডাঃ বিসি রায় পলিটেকনিক কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ডাঃ অরিন্দম চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে এই দুই কলেজের সার্বিক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অ্যান্ড গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস এর জেনারেল সেক্রেটারি তরুণ ভট্টাচার্য, প্রসিডেন্ট ডাঃ সত্যজিৎ বোস, ট্রেজারার জার্নেল সিং, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রতন রায়চৌধুরী, ডাঃ বিসি রায় ফার্মেসি কলেজের ডিরেক্টর সুব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ।
আরও পড়ুন- করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অ্যান্ড গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশন