আইআইটি, এনআইটির মতো ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়াদেরও পেড ইন্টার্নশিপ দেবে এনএইচএআই
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন বিভিন্ন আপডেট পাওয়ার জন্য।
দুর্গাপুরঃ মহাসড়কগুলি নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজকর্ম পরিচালনার জন্য দেশের অগ্রণী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এগিয়ে এসেছে। এবার দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নামও সেই তালিকায় যুক্ত হল। এখন থেকে এই কলেজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা জাতীয় মহাসড়ক বা ন্যাশনাল হাইওয়েতে পেড ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন।
সম্প্রতি জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের (এনএইচএআই) সঙ্গে ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মৌ সাক্ষর হয়েছে। এনএইচএআই এর তরফে উপস্থিত ছিলেন এনএইচএআইয়ের কলকাতা আর ও ম্যানেজার শৈলেন্দ্র শম্ভু, দুর্গাপুরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর এসকে মল্লিক। অন্যদিকে কলেজের পক্ষে ছিলেন ডিরেক্টর ডঃ পীযূষ পাল রায়, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগীয় প্রধান ডঃ সঞ্জয় সেনগুপ্ত ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সৌম্যদীপ দাস।
কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ বিকাশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের অগ্রণী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন আইআইটি, এনআইটি এবং এআইসিটিই অনুমোদিত একাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এনএইচএআই এর সঙ্গে স্বেচ্ছায় ওই কর্মসূচীতে সামিল হয়েছে। উদ্দেশ্য, জাতীয় মহাসড়কগুলির সুনির্দিষ্ট কিছু অংশ গবেষণাধর্মী কাজকর্ম পরিচালনার জন্য গ্রহণ করা।
এনএইচএআই কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ছাত্রছাত্রীদের দুমাসের জন্য ইন্টার্নশিপ ভাতা দেবেন। স্নাতকের ছাত্রছাত্রীরা প্রতি মাসে ৮ হাজার এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীরা মাসিক ১৫ হাজার টাকা উৎসাহ ভাতা পাবেন। এছাড়াও মহাসড়কের সংশ্লিষ্ট অংশে প্রয়োজনীয় গবেষণাধর্মী কাজকর্ম রূপায়ণে সাহায্য স্বরূপ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনএইচএআই কর্তৃপক্ষ গবেষণাগারের পরিকাঠামো তৈরিতে সাহায্য করবেন। এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এনএইচএআই, উভয়েই সমান লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ফের কোন বিশেষ পুরস্কার পেল দুর্গাপুরের বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সুরক্ষার নানা দিক, মহাসড়কগুলির রক্ষণাবেক্ষণ, যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য, যানজটপূর্ণ এলাকাগুলিতে যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে পারবে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানগুলি মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রকল্পের রূপরেখা নির্মাণ, নকশা প্রণয়ন ও নতুন প্রকল্প প্রস্তুতির কাজেও যুক্ত হতে পারবে। মহাসড়কের সংশ্লিষ্ট অংশে সেখানকার স্থানীয় আবহাওয়া, জলবায়ু ও সম্পদের প্রাচুর্যের উপর ভিত্তি করে উদ্ভাবনমূলক ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে মহাসড়ক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। এই উদ্যোগের ফলে মহাসড়ক লাগোয়া স্থানীয় এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থারও উন্নতি ঘটবে। অন্যদিকে, সিভিল/হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মত বিনিময়, ছাত্রছাত্রীদের সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
দুর্গাপুরের ডাঃ বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের পানাগড়-পালসিট স্ট্রেচের ১৮ কিমি (৬ লেন করার কাজ শুরু হবে) এবং পুরুলিয়া-চান্ডিল মহাসড়কের ১৪ কিমি (নির্মিয়মান) জুড়ে কাজকর্ম করবেন। কলেজ ও এনএইচএআইয়ের মধ্যে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ-বিষয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের কাজকর্মের পরিধি সম্পর্কে অবহিত করেন এনএইচএআইয়ের আধিকারিকেরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগীয় প্রধান ডঃ সঞ্জয় সেনগুপ্ত। কলেজ খোলার পরেই ছাত্র-ছাত্রীরা পুরুলিয়ায় সাইট পরিদর্শনে যাবেন বলে ঠিক হয়েছে।
https://durgapur24x7.com/billing-and-inventory-control-system-in-prime-minister-bharatia-janaushadhi-kendra/