একদিনে নয়শো তালগাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় সারেঙ্গা গ্রিন আর্মি
বাঁকুড়ার সারেঙ্গা গ্রিন আর্মি। পরিবেশ রক্ষায় এই সংগঠনের অবদানের কথা ইতিমধ্যে জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা এমনকি ভিন রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে।
শনিবার সারেঙ্গা গ্রিন আর্মির সদস্যরা সারেঙ্গায় নতুন তৈরী বাঁধের পাড়ে মোট ৯০০ তালের আঁটি রোপন করেন।
সংগঠনের মুখপাত্র শ্যামল গড়াই জানিয়েছেন, ছোট থেকেই তিনি বৃক্ষরোপণের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৯ সালে পাঁচটি গাছের ২৫ তম জন্মদিন পালন করা হয় সংগঠনের তরফে। এক একটি গাছ অন্তত ৫০-৬০ ফুট লম্বা। শ্যামলবাবুর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর বন্ধু কাজল দাস, কানাই রজক, আশীষ পাল প্রমুখ। এলাকার খুদেদেরকেও পরিবেশ রক্ষার কাজে সামিল করেন তাঁরা।
চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন, খবরের ভিডিও দেখুন https://youtu.be/bZ8IEGHvI7g


এবার তাল গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত কেন?
শ্যামলবাবু জানান, মেহগনি, শাল, সেগুন প্রভৃতি গাছ দুষ্কৃতীরা কেটে বিক্রি করে দেয়। তাই দুষ্কৃতী ও গবাদি পশুর হাত থেকে বাঁচতে তাল, অশ্বত্থ, বট, বকুল প্রভৃতি গাছকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন তাঁরা।
তাল পাকার পর গাছ থেকে খসে পড়ে নীচে। বহু তাল মাটিতে পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হয়। দুর্গন্ধ ছড়ায়। অথচ সেই আঁটিগুলি তুলে অন্যত্র রোপণ করে দিলে প্রতিটি আঁটি থেকে একটি করে নতুন তাল গাছের জন্ম হবে। অন্যান্য গাছ লাগালে বেড়া দিয়ে ঘিরতে হয় গবাদি পশুর উপদ্রবের হাত থেকে। যত্নআত্তি করতে হয়।
সেখানে তালের আঁটি মাটিতে পুঁতে দিলেই গাছ হয়। বজ্রপাতের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা, পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি তালগাছ ভূমিক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে।
গাছ বাঁচাতে কয়েকটি পথ নিয়েছে সারেঙ্গা গ্রিন আর্মি। বিশিষ্ট ব্যক্তি কেউ প্রয়াত হলে তাঁর স্মৃতিতে গাছ লাগানো হচ্ছে। শ্যামলবাবু বলেন, তাহলে সেই গাছ কেউ নষ্ট করার সাহস পাবে না। আবার কোনও শিশু জন্ম নিলে আমরা তার নামে গাছ লাগাচ্ছি, যাতে নতুন প্রজন্ম সবুজ অক্সিজেন নিয়ে বাঁচতে পারে।
সারেঙ্গা গ্রিন আর্মি ২০১৯ সাল থেকে কাজ করছে গ্লোবাল গ্রিন ফোর্সের শাখা সংগঠন হিসাবে। পথপ্রদর্শক হিসাবে রয়েছেন পরিবেশ সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাইকেলে ভারত ভ্রমণ করা পরিবেশপ্রেমী তারকচন্দ্র পাল।