মহিলা সুরক্ষায় ‘পথসাথী’ ডিভাইস আবিস্কার করেছেন লাউদোহার এক যুবক
চারিদিকে পর পর ঘটনা ঘটে চলেছে। বাড়িতে দুই বোন। তাদের সুরক্ষার কথা ভাবতে ভাবতেই, লাউদোহা থানার তিলাবনি গ্রামের সৈয়দ মুসারফ হোসেন বানিয়ে ফেলেছেন, ইন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি কাম অ্যালার্ট সিস্টেম।

হুগলির ব্যান্ডেলের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলি কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর তৃতীয় বর্ষের বি-টেক পড়ুয়া সৈয়দ মুসারফ হোসেন। তিনি জানান, দেশে মহিলাদের সুরক্ষার নানা ডিভাইস আবিস্কার করেছেন অনেকে। কিন্তু দুষ্কৃতীরা মহিলাদের প্রথমেই হাত পাকড়ে নেওয়ায় তাঁরা কাউকে ফোন করতে পারেন না বা কোনও সেফটি ডিভাইস সঙ্গে থাকলেও তা ব্যবহার করতে পারেন না।
সেকথা মাথায় রেখেই তিনি তৈরি করেছেন স্মার্ট সেফটি জুতো। তা জিপিএস এবং জিএসএম মোডেম যুক্ত। দুষ্কৃতীরা সাধারণত মহিলাদের হাত ধরে টানাটানি করে। তাই সেফটি ডিভাইস রাখা হয়েছে জুতোর ভিতরে। যাতে দুষ্কৃতী আঁচ করতে না পারে।
সৈয়দ মুসারফ হোসেন জানান, মহিলা আক্রান্ত হলেই সেফটি সিস্টেমে থাকা পাওয়ার শক জেনারেটর দুষ্কৃতীকে প্রতি ২ সেকেন্ডে ১২০০ ভোল্টের শক দিতে থাকে। একই সঙ্গে জিএসএম সিস্টেম পাঁচটি ফোন নম্বরে অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ সহ জায়গার লোকেশন দিয়ে মেসেজ পাঠাতে থাকে। এছাড়াও প্রতি ৩০ সেকেন্ডে অটো এসওএস কল যেতে থাকে ওই পাঁচটি নম্বরে। পুলিশ, বাড়ির কেউ, এমন পাঁচটি ফোন নম্বর আগে থেকে সেট করে রাখা হয় ডিভাইসে।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, দুষ্কৃতীরা সাধারণত মহিলাকে তুলে নিয়ে যায় অন্য কোথাও। জুতোয় থাকা ডিভাইসের মাধ্যমে মহিলার অবস্থান সহজেই জানতে পারবেন উদ্ধারকারীরা। ফলে সহজেই তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন।
ইতিমধ্যেই সৈয়দ মুসারফ হোসেন এই ডিভাইস দেখিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসককে, লাউদোহার বিডিওকে।
Great