লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। প্রথম পর্যায়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূল না হলে লকডাউনের সময়সীমা বাড়বে। আমেরিকায় ইতিমধ্যেই তা দেখা গিয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ঘরে বদ্ধ থাকতে থাকতে অনেকেই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন। সেটা এড়ানোই এখন আসল কাজ। কারণ, মন দুর্বল হওয়ার অর্থ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস। তাই মন শক্ত রাখুন। আনন্দে থাকুন। হতাশাকে ধারে কাছে ঘেঁসতে দেবেন না।
সেজন্য কয়েকটি টিপস মেনে চলতে পারেন। নিয়ম মেনে হাত ধোওয়া, সন্দেহ হলে বাড়ির অন্যদের সঙ্গে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি হয়তো এই টিপসগুলোও কাজে আসবে।
প্রথমেই যেটা বলা দরকার, তা হল করোনা নিয়ে লাগাতার খবর দেখায় এবার বিরতি দিন। দেখুন, করোনাভাইরাস নিয়ে যা জানার, এতদিনে আশা করি সব জেনে গিয়েছেন। নতুন করে আর জানার তেমন কিছু নেই। তাই এবার একটু অন্যভাবে ভাবুন।
দেখুন করোনার সংক্রমণ বাড়তেও পারে, কমতেও পারে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে। আবার আর মৃত্যু নাও হতে পারে। কিন্তু সারাক্ষণ প্রতি মুহূর্তের আপডেট নিতে নিতে আপনি মনে মনে ক্লান্ত হতে থাকবেন। সংক্রমণ বা মৃত্যুর সংখ্যার বাড়বাড়ন্ত আপনার মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করবে। আপনি মানসিকভাবে দুর্বল হতে থাকবেন।
করোনা ভাইরাসের নতুন নতুন তথ্যের জন্য লাগাতার ইন্টারনেট ঘাঁটা এবার বন্ধ করুন। দেখুন, ইন্টারনেটে বহু অবৈজ্ঞানিক তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে এই সুযোগে নানান নেতিবাচক ভিডিও শেয়ার করে তাদের ভিউ বাড়িয়ে নিচ্ছে। আর এসব দেখে আপনি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। তাই এবার সচেতন হোন।
কাউকে কোনও তথ্য বা ছবি পাঠানোর সময় একটা জিনিস মাথায় রাখবেন। যাঁকে পাঠাচ্ছেন তাঁর মানসিক জোর কতটা। সেই ছবি বা তথ্য দেখে তিনি যেন আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে পড়েন। তাঁর যেন মানসিক অবসাদ না বেড়ে যায়।
লকডাউনের এই সময়ে বাড়িতে বসে হাল্কা আওয়া্জে পছন্দের গান শুনুন। দেখুন মন ভালো হয়ে যাবে। বাচ্চাদের জন্য ক্যারাম, দাবার ব্যবস্থা করে দিন। তাদের মজার মজার গল্প বলুন। তাদের টানা টিভি দেখার একঘেয়েমি কাটবে।
ইতিবাচক মানসিকতা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। উল্টোটাও ঠিক। নেতিবাচক ক্ষমতা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই আপনি অবসাদে ভুগলেই বিপদ। তাই ভাইরাসের সঙ্গে এই যুদ্ধে আপনার সবসময় ইতিবাচক থাকা ভীষণ জরুরি।
মনে রাখবেন, কোনও কিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এই খারাপ সময়ও কেটে যাবে একদিন। তাই আনন্দ করে বাঁচুন।