দুশো আমগাছ লাগিয়ে সেগুলি দত্তক নিলেন তেপান্তরের নাট্যকর্মীরা
কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতকাহানিয়ার নাট্যগ্রাম তেপান্তরের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ বিদেশে। সেখানকার এবং আমরা দলের নাট্যকর্মীরা অভিনয়ের বাইরে গিয়েও নানা সামাজিক কাজ করে থাকেন। এবারের স্বাধীনতা দিবসে নাট্যদলের ২০ জন নাট্যকর্মী দুশো আমগাছ লাগিয়ে প্রত্যেকে ১০ টি করে গাছ দত্তক নিলেন।

তেপান্তর নাট্যগ্রামের সামনের বিস্তৃীর্ণ এলাকা বহু বছর আগে ছিল সবুজে ঘেরা। কিন্তু চোরাকারবারিদের দাপটে একের পর এক গাছ ধ্বংস হতে থাকে। এক সময় পুরো এলাকা রুখু-শুকু জমিতে পরিণত হয়। তাছাড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ এখনও জ্বালানির জন্য জঙ্গলের গাছের ডাল ভেঙে নিয়ে যায়। নাট্যগ্রামের পক্ষ থেকে সচেতন করা হলেও তাঁরা ফের আসেন।
তাই স্বাধীনতা দিবসের সকালে বন দফতরের ফাঁকা জায়গায় একশোটি আম গাছ লাগিয়েছেন নাট্যদলের ২০ জন সদস্য। পরদিন আরও একশো আমগাছের চারা রোপণ করছেন তাঁরা। মোট দুশোটি গাছ তাঁরা প্রত্যেকে ১০টি করে গাছ দত্তক নিলেন তাঁরা। বছরভর গাছগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাঁদের।
প্রধান উদ্যোক্তা কল্লোল ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, জায়গাটি বন দফতরের ঠিকই। তবে তেপান্তর নাট্যগ্রামের লাগোয়া। বন দফতর গাছ লাগালেও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গাছ মরে যায়। তাই আমরা ১০ টি করে গাছ দত্তক নিয়েছি। আম কাঠ জ্বালানি হিসাবেও সেভাবে কাজে লাগে না। আশা করা যায়, গাছগুলি একদিন ঠিকই বৃক্ষে পরিণত হবে।
আমগাছের চারা তৈরী হয়েছে তেপান্তর নাট্যগ্রামেই। সেখানে আম্রপালি, ল্যাংড়া, হিমসাগর সহ নানান ধরণের আমের গাছ আছে। সেই সব গাছের বীজ থেকেই চারা তৈরী করা হয়েছে। কারণ এই চারা দ্রুত বাড়ে এবং দীর্ঘজীবি হয়। কল্লোলবাবুর স্বপ্ন, আমগাছের ছায়ায় ঢেকে থাকুক তেপান্তরের মাঠ। সেই লক্ষ্যে প্রত্যেক বছর গাছ লাগানোর সংকল্প নিয়েছেন কল্লোলবাবু-রা।