অ্যাপ নিয়ে মাথাব্যাথার শেষ নেই যেন! পাবজি নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। এবার শুরু হয়েছে টিক টিক নিয়ে অশান্তি।
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শিখরে রয়েছে পাবজি (পিইউবিজি) গেম। এই ভিডিও গেমটি এখন পর্যন্ত বিশ্বে ২০ কোটির বেশি ডাউনলোড হয়েছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ কোটি মানুষ এই গেম খেলেন। গেমটি নিয়ে আপত্তি নানা কারণে। খুব সহজেই কমবয়েসীরা আসক্ত হয়ে পড়ছে। ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনার। গেমটি খেলতে খেলতে তারা সহিংস হয়ে পড়ছে। আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। আসক্তি এতটাই যে বাবা-মায়ের বকুনি খেয়ে বা খেলতে না দিলে আত্মঘাতী হচ্ছে তাদের কেউ কেউ। টানা গেম খেলে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বাংলাদেশ ও নেপালে গেমটি নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়েছে টিকটক। ডাউনলোডের তালিকায় বিশ্বে এটি দ্বিতীয় জনপ্রিয়তম অ্যাপ। প্রথম স্থানে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
টিকটক অ্যাপের মাধ্যমে আইওএস বা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে বাড়িতে বসেই স্বল্প-দৈর্ঘ্যের কমেডি, ট্যালেন্ট ভিডিও, লিপ-সিঙ্ক, এসব বানানো যায়। ২০১৬ সালে এই অ্যাপ বাজারে ছাড়ে একটি চিনা প্রযুক্তি সংস্থা। ২০১৭ সালে ভারতে টিকটকের আগমন। দ্রুত জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যায় অ্যাপটি। এদেশে বর্তমানে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ কোটিরও বেশি।
https://durgapur24x7.com/2019/11/02/pubg-danger-পাবজি-গেমের-বিপদ/
টিকটকে ভিডিও বানানো নিয়ে অশান্তির শেষ নেই। কখনও স্বামী ভিডিও বানাতে বাধা দেওয়ায় আত্মঘাতী হচ্ছেন স্ত্রী। কখনও টিকটকে বিপজ্জনক ভিডিও বানাতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন কেউ। মৃত্যুও হচ্ছে। এমনকি টিকটক পর্ণোগ্রাফি ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগও এপ্রিলে দায়ের হয় মাদ্রাজ হাইকোর্টে। আবার আমেরিকার মতো দেশ এই অ্যাপের মাধ্যমে চিন বিভিন্ন সংবেদনশীল বিষয়ের উপর নজরদারি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে। টিকটকের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবু সংশয় যাচ্ছে না কিছুতেই।
তাই বাবা-মায়েরা দায়িত্ব নিন। ছেলে-মেয়েদের চোখে চোখে রাখুন। বেচাল দেখলে কড়া হোন শুরুতেই। তা না হলে একবার আসক্ত হয়ে গেলে তখন কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। সেই অবস্থায় যাওয়ার আগেই পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিন। দুশ্চিন্তা করবেন না। সতর্ক থাকুন।
+ There are no comments
Add yours