বিশ্বের প্রথম হিলিয়াম গ্যাসের খনি চালু হবে বীরভূমের বক্রেশ্বরে
আমেরিকা থেকে আমদানি বন্ধ করে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে এবার বীরভূমের বক্রেশ্বরে বিশ্বের প্রথম হিলিমায় গ্যাসের খনি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আমাদের দেশে ইউরেনিয়াম উত্তোলনের দায়িত্বে রয়েছে অ্যাটমিক মিনারেলস ডিরেক্টরেট। দুর্গাপুরের এনআইটির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক হিলিয়াম গ্যাস উত্তোলন খনি চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
খবরে প্রকাশ, এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মৌ চুক্তি সাক্ষরিত হবে। প্রকল্পের পরামর্শদাতা হিসাবে থাকবেন পদ্মশ্রী বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ এবং এনআইটি-র ডিরেক্টর অধ্যাপক অনুপম বসু।
হিলিয়াম একটি বর্ণহীন, গন্ধহীন এবং স্বাদহীন নিষ্ক্রিয় গ্যাস। পৃথিবীতে এর পরিমাণ অত্যন্ত কম। ভূগর্ভে প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে মিশ্র অবস্থায় একে পাওয়া যায়। অত্যন্ত হালকা বলে নিঃসরণের পর এটি বায়ুমণ্ডল ত্যাগ করে এবং আর ধরে রাখা যায় না।
আমাদের দেশে বছরে ০.১৫ বিলিয়ন কিউবিক ফিট হিলিয়াম গ্যাস লাগে। এদেশে গ্যাস বেলুনে ব্যবহারের পাশাপাশি ইসরো রকেটের জ্বালানি হিসাবে হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করে, ক্ষেপনাস্ত্রের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, মেডিক্যাল রেসোনেন্স ইমেজিং প্রভৃতি জায়গায় হিলিয়ামের ব্যবহার হয়। চড়া দাম দিয়ে আমেরিকা থেকে হিলিয়াম আমদানি করতে হয়।
আমেরিকা, রাশিয়া প্রভৃতি দেশ পেট্রোলিয়াম গ্যাস থেকে হিলিয়াম পৃথক করে থাকে। আমাদের দেশে সেই ব্যবস্থা নেই। সমস্যা এবার মিটতে চলেছে।
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ড জুড়ে থাকা বক্রেশ্বর-তাঁতলই জিওথার্মাল রিজিয়ন থেকে হিলিয়াম উত্তোলন করা হবে। বছরে আমাদের দেশে লাগে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ সিলিন্ডার। বক্রেশ্বর থেকে বছরে ৬০ হাজার হিলিয়ামের বাণিজ্যিক সিলিন্ডার মিলবে। এছাড়া উপজাত সামগ্রী হিসাবে বছরে ৫০ হাজার সিলিন্ডার আর্গন মিলবে। মেডিক্যাল সায়েন্সে কাজে লাগে আর্গন।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১ কিমি নীচে গ্যাস রয়েছে। কুয়ো খুঁড়ে গ্যাস বের করা হবে। তিন বছরের মধ্যে উত্তোলন শুরু হয়ে যাবে। ২০ মেগাওয়াট পরিবেশ বান্ধব জিওথার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট গডে় উঠবে।